সাতকাহন২৪.কম ডেস্ক
শিশুরা একইসঙ্গে শেখা ও বড় হওয়ার প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যায়। চারপাশের পরিবেশের সঙ্গে তাল মেলাতে কিছু বিষয় তাদের জীবনের শুরুতেই শেখানো জরুরি। এতে তারা শক্তিশালী, আত্মনির্ভরশীল ও দয়ালু হয়ে ওঠে। জীবনগঠনে শিশুদের শেখানো জরুরি ৫ বিষয়ের কথা জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া।
আদবকেতা বা ম্যানারস জরুরি বিষয়
জীবনে চলার পথে আদবকেতা জানা ও পালন করাটা জরুরি। ‘প্লিজ’, ‘থ্যাংক ইউ’, ‘ওয়েলকাম’ ইত্যাদি আদবকেতামূলক শব্দ শিশুর যোগাযোগ দক্ষতাকে বাড়াতে সাহায্য করে। তাই একদম ছোটবেলা থেকেই শিশুকে এগুলো শেখাতে হবে।
সবাই তোমাকে পছন্দ করবে না
শিশুকে ছোটবেলা থেকেই বোঝান, ‘তুমি যত ভালোই করো না কেন, সবাই তোমাকে পছন্দ করবে না।’ মানুষ অন্যের সম্পর্কে মন্তব্য করে নিজের জ্ঞান, সিমাবদ্ধতা ও দৃষ্টিভঙ্গী থেকে। তাই সবাই ‘ভালো’ বলবে এই আশা করো না।
অভিযোগ শুধু সময়ই নষ্ট করে
অনেকেই সমাধানের পথ না খুঁজে কেবল অভিযোগ করতে থাকে। আর এই অভ্যাসটি মানুষ সাধারণত ছোটবেলা থেকেই শেখে। তাই খেয়াল করুন শিশু যেন অভিযোগপ্রবণ না হয়ে ওঠে। সে কােনো অভিযোগ নিয়ে আসলে, শুরুতেই আপনি সমাধান না করে তাকে করতে দিন। এতে শিশুর যোগাযোগ দক্ষতা বাড়বে।
জীবনের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকা
কৃতজ্ঞতাবোধ মানুষকে সুখি করে। নিজের যা রয়েছে, যতটুকুই রয়েছে তাতে কৃতজ্ঞ থাকতে শেখান। তাকে বোঝান- পরিশ্রম ও মেধা দিয়ে আরো কিছু হয়তো অর্জন করা যাবে। তবে এই মুহূর্তে যা রয়েছে তাতে যেন সে আনন্দে থাকে। এই অভ্যাস মানসিক প্রশান্তি বাড়াবে।
অকৃতকার্য হওয়া মানে সব শেষ নয়
ইংরেজিতে একটি প্রবাদ রয়েছে। ফেইলিউর ইজ দ্যা পিলার অব সাকসেস। অর্থাৎ একবার অকৃতকার্য হলেই সব শেষ হয়ে যায় না। এটি সফল হওয়ার পথে একটি ধাপ মাত্র।
শিশুটি কিছু শিখতে গেলে, লেখা-পড়া করতে গেলে অকৃতকার্য হতেই পারে। এতে ভেঙে না পড়ে, সে যেন আরো শক্তিশালী ও প্রস্তত হয়ে পরীক্ষার মাঠে নামে, সেটি তাকে শেখানো জরুরি।