সাতকাহন২৪.কম ডেস্ক
ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের মধ্যে ভিপিএন বা প্রাইভেট ভার্চুয়াল নেটওয়ার্ক বর্তমানে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে দেশে ইন্টারনেট সেবা সীমিত হয়ে যাওয়ায় বিকল্প হিসেবে অনেকেই ভিপিএনের দ্বারস্থ হয়েছেন।
তবে এই অ্যাপ বা সফটওয়্যারটির বিভিন্ন সুবিধা থাকলেও অসুবিধা বা ক্ষতির দিকও রয়েছে। এটি ব্যবহারের কিছু ক্ষতির কথা জানিয়েছে টেকনোলজি বিষয়ক ওয়েবসাইট অল অ্যাবাউট কুকিস।
১. ভিপিএন ব্যবহারে ইন্টারনেট সংযোগের গতি কমে যায়। ভিপিএন বিভিন্ন দুর্গম সার্ভারের মধ্য দিয়ে ডেটা পাঠায় ও ট্রান্সমিশন এনক্রিপ্ট করে। তাই ব্রাউজিংয়ের সময় গতি কমে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
২. ভিপিএন ব্যবহারকারীর পরিচয় গোপন রাখে- এটাই বলা হয়। তবে কোনো কারণে ব্যবহারকারীর পরিচয় শনাক্তকরণ তথ্য, ইউজারনেম ও পাসওয়ার্ড অন্য কেউ পেয়ে গেলে একাউন্ট হ্যাক হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
৩. ভিপিএন বিনামূল্যে ব্যবহার করা গেলেও প্রিমিয়াম শ্রেণির গ্রাহক হতে চাইলে এবং উচ্চ গতির সার্ভার ব্যবহার করতে গেলে টাকা গুণতে হয়।
৪. এই সেবাটি ব্যবহার করতে গেলে প্রযুক্তি সম্পর্কে তুলনামূলক কম জানা লোকেদের অসুবিধা হতে পারে। এনক্রিপশন প্রোটোকল, সার্ভার বাছাই ও ‘টানেলিং’ ইত্যাদি বিষয় ভালোভাবে না জানা থাকলে ব্যবহারকারীরা সমস্যায় পড়তে পারেন।
৫. বর্তমানে অস্যংখ্য ভিপিএন সফটওয়্যার ও অ্যাপ বাজারে রয়েছে। তাই ব্যবহারকারীর তথ্য নিরাপত্তার বিষয়টি সেবাদাতার সততার ওপর নির্ভর করে।