Monday, January 20, 2025
spot_img
Homeজীবনের খুঁটিনাটিসকালে নাস্তার পরে কি ঘুম পায়? কারণ জানুন

সকালে নাস্তার পরে কি ঘুম পায়? কারণ জানুন

সাতকাহন২৪.কম ডেস্ক
সকালবেলা ভরপেট নাস্তা করেছেন। ভাবছেন, সারাদিন বেশ শক্তি পাবেন। তবে ঘটল উল্টো। নাস্তার পরপরই কেমন যেন ঘুম ঘুম ভাব, অবসাদ এসে ভর করল দেহে। মনে হল, আরেকটু ঘুমিয়ে নিতে পারলে ভালো হতো।

সকালবেলা নাস্তার পরপর এই রকম সমস্যায় কি পড়েছেন কখনো? তাহলে এই প্রতিবেদন আপনার জন্য। বিভিন্ন কারণেই নাস্তার পর শরীরে অবসাদ ভর করে, লাগতে পারে ক্লান্তি। নাস্তার পরে ঘুম পাওয়ার কিছু কারণ জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া।

রক্তে সুগারের মাত্রার তারতম্য
সকালের খাবার রক্তের সুগারের ওপর প্রভাব ফেলে। সুগারের মাত্রার তারতম্যের কারণে নাস্তার পর ঘুম পায় বা ঘুম ঘুম ভাব হয়। সকালের নাস্তায় অতিরিক্ত কার্বহাইড্রেট জাতীয় খাবার (যেমন : সিরিয়ালস, রুটি অথবা চিনিযুক্ত খাবার) খেলে শরীর একে গ্লুকোজে ভাঙতে শুরু করে। গ্লুকোজ রক্তে পৌঁছে যায়। এতে রক্তে সুগারের মাত্রা বাড়ে। এটি সকালে নাস্তার পর পরই ঘুম পাওয়ার অন্যতম কারণ।

এই সমস্যা সমাধানে কার্বহাইড্রেট কম গ্রহণ করে প্রোটিন ( ডিম, দই, মাংস ইত্যাদি) ও আঁশযুক্ত ( সবজি, ফল ) খাবার খেতে পারেন। কার্বহাইড্রেটের ক্ষেত্রে ওটস, একটি ছোট রুটি সকালের নাস্তায় রাখা যেতে পারে।

ক্যাপশন : সুগারের মাত্রার তারতম্যের কারণে নাস্তার পর ঘুম পায় । ছবি : সংগৃহীত
ক্যাপশন : সুগারের মাত্রার তারতম্যের কারণে নাস্তার পর ঘুম পায় । ছবি : সংগৃহীত

খাবারের পরিমাণ
স্বাস্থ্যকর খাবারও সকালবেলা অতিরিক্ত খাওয়া হলে ঘুম পায়। বেশি খাবার খেলে হজম করতে বেশি শক্তি ও সময় লাগে; হজম ধীরগতির হয়। এতে শরীর ক্লান্ত হয়ে পড়ে; ঘুম পায়।

উচ্চ চর্বিযুক্ত খাবার
উচ্চ চর্বিযুক্ত বা তৈলাক্ত খাবার হজম করাও শরীরের জন্য কষ্টসাধ্য। এতে শক্তি বেশি লাগে; ঘুম ঘুম ভাব হয়। তাই সকালবেলার খাদ্যতালিকায় এই ধরনের খাবার না রাখার পরামর্শই দেন বিশেষজ্ঞরা।

প্রোটিনের ঘাটতি
প্রোটিন জাতীয় খাবারের অভাবেও শরীর ক্লান্ত লাগে এবং ঘুম পায়। তাই সকালবেলার খাদ্যতালিকায় ডিম, দই, মুরগির মাংস, বিচি জাতীয় খাবার ইত্যাদি রাখতে পারেন। এসব খাবার প্রোটিনের ঘাটতি পূরণে অনেকটাই সাহায্য করে।

ক্যাপশন : সকালের খাবারে প্রোটিন রাখা জরুরি। ছবি : সংগৃহীত
ক্যাপশন : সকালের খাবারে প্রোটিন রাখা জরুরি। ছবি : সংগৃহীত

পানিশূন্যতা
সারারাত ঘুমের পর শরীর পানিশূন্য হয়ে পড়ে। পানিশূন্যতা অবসন্ন ভাব বাড়ায়। সকালের নাস্তায় পর্যাপ্ত পানি পান ক্লান্তি দূর করতে সাহায্য করে।

ভালো ঘুমের অভাব
রাতে ঘুম ভালোভাবে না হলে, সকালে নাস্তার পরও অবসাদ লাগে। প্রতিদিন অন্তত সাত থেকে আট ঘণ্টার ঘুম শরীরকে চাঙা ও ফুরফুরে রাখতে উপকারী।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments