সাতকাহন২৪.কম ডেস্ক
প্রযুক্তিগত উন্নয়নের এই যুগে সাধারণত শিশুর হাতে স্মার্টফোন দিতেই হয় অভিভাবককে। অনেক সময় স্কুলের ক্লাস করা, শিক্ষাগত তথ্য বা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য শিশুকে জানাতে স্মার্টফোনের দ্বারস্থ হতেই হয়। তবে এটি ব্যবহার করতে দেওয়ার সময় কিছু ভুল করে বসেন অভিভাবকরা।
স্মার্টফোন ততক্ষণই উপকার, যতক্ষণ পরিমিতভাবে, বুঝে-শুনে ব্যবহার করা যায়। শিশুকে স্মার্টফোন দেওয়ার সময় অভিভাবকরা করেন এমন কিছু ভুলের কথা জানিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।
অতিরিক্ত স্ক্রিন টাইম দেওয়া
অতিরিক্ত স্মার্টফোন দেখা বা স্ক্রিন টাইম বেশি হওয়া শিশুর সম্পূর্ণ স্বাস্থ্যের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। এতে ঘুমের অসুবিধা, সামাজিক যোগাযোগের অদক্ষতা, মানসিক অস্থিরতা ইত্যাদি তৈরি হয়। তাই সন্তানের স্ক্রিন টাইম নিয়ন্ত্রণে আনা জরুরি।
গবেষণায় বলা হয়, ১৮ থেকে ২৪ মাসের শিশুর জন্য ইলেকট্রনিক ডিভাইস দেখা একদমই উপযোগী নয়। ২৪ মাস বা দুই বছর বয়সের পরের শিশুদের দিনে এক ঘণ্টা স্ক্রিন টাইম রাখা যেতে পারে।
শিশুর স্মার্টফোনের ব্যবহার পর্যবেক্ষণ না করা
শিশু স্মার্টফোনে কী ধরনের অ্যাপ ব্যবহার করছে বা কনটেন্ট দেখছে, সেটি পর্যবেক্ষণ করা খুব জরুরি। পাশাপাশি শিশুকে বোঝানো প্রয়োজন ভুল-ভাল অ্যাপ জীবনে কী ধরনের ক্ষতি বয়ে আনতে পারে।
নিজে বেশি স্মার্টফোন ব্যবহার করা
আপনি নিজে সারাক্ষণ স্মার্টফোন ব্যবহার করলে, একটু পরপর মেসেজ, নোটিফিকেশন চেক করতে থাকলে শিশুকে শোধরাতে অসুবিধা হবে। তাই আগে নিজে স্মার্টফোন ব্যবহারের বিষয়ে সতর্ক হন। পাশাপাশি সন্তানের সঙ্গে গুণগত সময় কাটান।
শিশুকে বাইরে খেলাতে উৎসাহিত না করা
শিশুর হাতে কেবল স্মার্টফোন ধরিয়ে দিলে চলবে না, তাকে শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকতেও উৎসাহ দিতে হবে। ভারসাম্যপূর্ণ জীবনের জন্য বাইরে গিয়ে তার পছন্দের কোনো খেলা বা শখ পূরণেও সময় বের করা জরুরি। এতে সামাজিক যোগাযোগ দক্ষতা বাড়বে।
ডিজিটাল আদবকেতা না শেখানো
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কীভাবে অন্যের সঙ্গে কথা বলতে হয়, ভদ্রতা বজায় রাখতে হয়, সেটি শিশুকে না শেখানো একটা বড় ভুল। দয়া, গোপনীয়তা, সঠিক যোগাযোগ দক্ষতা ইত্যাদি বিষয় নিয়ে শিশুর সঙ্গে আলোচনা করা প্রয়োজন। তাহলে শিশু ঠিকঠাকভাবে বিষয়টিতে দক্ষ হয়ে উঠবে। সর্বোপরি, নিজেকে ডিজিটাল আদবকেতা জানতে হবে এবং শিশুকেও সেটি শেখাতে হবে।