সাতকাহন২৪.কম ডেস্ক
মাইগ্রেনের ব্যথা এক অসহ্য যন্ত্রণার নাম। ঘাড় ও কাঁধে ব্যথা, দুই চোখের পেছনে ব্যথা, বমি ভাব ও বমি, মাথার একপাশে ব্যথা, আলো ও শব্দের প্রতি সংবেদনশীলতা ইত্যাদি মাইগ্রেনের লক্ষণ।
কিছু বিষয় রয়েছে, যেগুলো মাইগ্রেনের ব্যথাকে আরো বাড়িয়ে দেয়। আবার অপর কিছু বিষয় একে অনেকটাই কমাতে সাহায্য করে। মাইগ্রেনের সময় কী করবেন এবং কী করবেন না, তার একটি তালিকা জানিয়েছে স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট ওয়েবএমডি।
- কী করবেন ?
ওষুধ নিন
মাইগ্রেনের ব্যথা শুরু হচ্ছে মনে হলে আগে থেকেই ওষুধ খেয়ে নিন। তবে এই ওষুধ হতে হবে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী।
একটু থামুন
সম্ভব হলে একটু রিলাক্স বা শিথিল থাকার চেষ্টা করুন। এই সময় আলো ও শব্দের প্রতি সংবেদনশীলতা তৈরি হয়। তাই কোনো অন্ধকার, শব্দহীন ঘরে থাকার চেষ্টা করাই ভালো। সম্ভব হলে একটু ঘুমিয়ে নিন।
ক্যাফেইন নিন
অনেকের ক্ষেত্রে চা, কফি বা কোলা জাতীয় ক্যাফেইন খেলে ব্যথা কিছুটা কমে। এমন হলে খেয়ে দেখতে পারেন। তবে খুব বেশি খেতে যাবেন না। আর ঘুমের আগে এসব খাবার অবশ্যই এড়িয়ে যান।
গরম পানি বা বরফের স্যাঁক দিন
এ সময় মাথা ও ঘাড়ে বরফের প্যাক ব্যবহার করলে অনেকটাই আরাম পাওয়া যায়। আবার কারো কারো ক্ষেত্রে গরম পানিও খুব উপকার করে।
এ ছাড়া ব্যথা কমাতে গরম পানি দিয়ে গোসল করতে পারেন। এতেও অনেকটা আরাম পাবেন।
পানি পান করুন
মাইগ্রেনের ব্যথা শুরু হচ্ছে বুঝতে পারলে পানি পান করা শুরু করুন। দেহ পানিশূন্য হয়ে পড়লে ব্যথা বাড়ে। পানিশূন্যতা প্রতিরোধে নিজের কাছে সবসময় একটি পানির বোতল রাখুন এবং কিছুক্ষণ পর পর পান করুন।
- কী করবেন না ?
বেশি ওষুধ খাবেন না
অনেকে ব্যথা শুরু হলে অনেক ওষুধ একসঙ্গে খেয়ে ফেলে। এটি করতে যাবেন না। ব্যথানাশক মাসে ১০ দিনের বেশি
না খাওয়াই ভালো। এতে ওষুধের অত্যাধিক ব্যবহারের কারণে ব্যথা আবার ফিরে আসতে পারে। যেকোনো ওষুধ সেবনের আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুসারে ডোজ ও সময় ঠিক করে নিন।
খাবার বাদ নয়
প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় খাবার খান। কোনো বেলার খাবারই বাদ দেবেন না। দীর্ঘক্ষণ না খেয়ে থাকলেও ব্যথা বাড়ে। তবে প্রক্রিয়াজাত মাংস, চকোলেট, কৃত্রিম মিষ্টি জাতীয় খাবার ইত্যাদি এড়িয়ে যান। এগুলো ব্যথা বাড়ায়।
মানসিক চাপমুক্ত থাকুন
কথাটা হয়তো বলা সহজ, তবে দৈনন্দিন প্রতিযোগিতার জীবনে মানসিক চাপ না হওয়াই অস্বাভাবিক। তবুও চেষ্টা করুন, চাপ কিছুটা কমিয়ে রাখার। এই ক্ষেত্রে শ্বাস- প্রশ্বাসের ব্যায়াম, ধ্যান ইত্যাদিকে জীবনের অংশ বানিয়ে নিন। এসব কাজ মানসিক চাপ কমাতে অনেকটাই উপকারী।