সাতকাহন২৪.কম ডেস্ক
মানুষের মনস্তত্ত্ব বেশ বিচিত্র। কেউ কেউ ‘ডার্ক সাইকোলজি’ ব্যবহার করে অন্যকে ম্যানিপুলেশন ( সূক্ষ্মভাবে ব্যবহার) করার চেষ্টাটা বেশ ভালোভাবেই করে। কথা দিয়ে অন্যকে অসম্মান করে তারা নিজেদের মধ্যে আত্মতৃপ্তির ঢেকুর তোলে।
তবে অযথা কথার খোঁচা দেওয়া আর অসম্মান করার বিষয়টিকে তো আর সবসময় চলতে দেওয়া যায় না। এটি থামানোও জরুরি। না হলে, আপনাকেই পেয়ে বসবে। তাই অসম্মানের প্রতিউত্তর কীভাবে দেবেন, তার জন্য রইল কিছু সহজ পরামর্শ –
নন ভারবাল ওয়ানিং
কেউ আপনাকে অসম্মান করলে, তাকে নন ভারবাল ওয়ানিং দিন। বিষয়টি এমন যে তার সঙ্গে আপনি তর্কে জড়াবেন না বা কথোপকথন করবেন না, তবে সে বুঝে যাবে আপনার কাছে গুরুত্ব হারিয়েছে। যেমন : কেউ অপমানজনক কথা বললে তাকে এড়িয়ে অন্য কারো সঙ্গে কথা বলা শুরু করুন। এতে যে অপমান করছে, সে অপ্রস্তুত হয়ে পড়বে। এখানে নেগেটিভ রিইনফোর্সমেন্টের (নেতিবাচক শক্তিবৃত্তির) নিয়ম ব্যবহার করে যে অসম্মান করেছে, তাকে বাধা দেওয়া হচ্ছে।
‘ওকে’ বলুন
কেউ অসম্মান করলে তাকে ‘ওকে’ বা ‘ঠিক আছে’ বলতে পারেন। শুনতে একটু অস্বস্তিকর হলেও, এই কথাটিও বেশ কাজে দেবে। এখানে অসম্মানকে আপনি গ্রহণ করছেন না, তবে মাথায় নিয়েছেন।
‘আপনি কী বলেছেন, শুনিনি’
যে আপনাকে অসম্মান করছে, তাকে অবহেলার সুরে বলুন, ‘আপনি কী বলছেন ? আমি ঠিক শুনতে পারিনি।’ এতে অসম্মানকারী ব্যক্তি একটু হলেও ভ্যাবাচেকা খেয়ে যাবে। আর পরে কথাটি বলতে আরেকবার ভাববে।
‘আপনি ঠিক আছেন?’
টক্সিক ব্যক্তি আপনাকে অযথা মুখের ভাষা দিয়ে খোঁচা দিতে আসলে, তাকে তাচ্ছিল্লের সুরে এক কথায় বলে দিন, ‘আপনি কি ঠিক আছেন?’ এতে সেই সময়ের কথোপকোথনের নিয়ন্ত্রণ আপনার হাতে চলে আসবে এবং আপনাকে যে অসম্মান করছে সে অস্বস্তিতে পড়বে।
উপরের যেই নিয়মটি আপনার জন্য উপযুক্ত সেটি স্থান, কাল, সময় ভেদে প্রয়োগ করতে পারেন। এতে দুষ্টের দমন কিছুটা হলেও হবে।
সূত্র : উইকিহাউ ও সুরভিগান্ধি ইন্সটাগ্রাম