ডা. শাকিল মাহমুদ
এইচএমপিভি বা হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস এক নতুন আতঙ্কের নাম। এই ভাইরাসটি ২০০১ সালে আবিষ্কৃত হয়। আর বাংলাদেশে এটি শনাক্ত হয় ২০১৭ সালে। সম্প্রতি বিশ্বব্যাপী ভাইরাসটি প্রকোপ শুরু হয়েছে।
এই ভাইরাসটিকে অনেকটা সাধারণ ঠান্ডা-কাশির মতোই ধরা হচ্ছে। তবে এটি করোনার মতো এতো ভয়াবহ নয়, এমনটাই মনে করছেন চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা। তাই আতঙ্কিত না হয়ে সচেতনতা বাড়ানো জরুরি।
লক্ষণ
- সর্দি
- জ্বর
- কাশি
- গলাব্যথা
- শ্বাসকষ্ট
- র্যাশ
কাদের বেশি হয়?
- তিন থেকে পাঁচ বছরের কম বয়সের শিশুদের হওয়ার আশঙ্কা বেশি।
- প্রবীণ, যারা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত তাদের আশঙ্কা রয়েছে।
- গর্ভাবস্থায় এই রোগ হতে পারে।
- অ্যাজমা, নিউমোনিয়া, ফুসফুসের সমস্যা যাদের রয়েছে তারা এই রোগে ভুগতে পারেন।
প্রতিরােধ
- মাস্ক পড়তে হবে
- জনবসতিপূর্ণ এলাকা এড়িয়ে যাওয়াই ভালো।
- বাহির থেকে আসলে সাবান-পানি দিয়ে অন্তত ২০ থেকে ৩০ সেকেন্ড হাত ধুতে হবে।
- এই ভাইরাস সাধারণত চার-পাঁচ দিন পরে নিজে নিজেই ঠিক হয়ে যায়।
- মুখ, চোখ, নাক ধরা থেকে বিরত থাকুন।
- জ্বর-কাশি, ঠান্ডা হলে অন্য মানুষের সংস্পর্শে আসা থেকে বিরত থাকুন।
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ভিটামিন সি জাতীয় খাবার খান।
লেখক : চিকিৎসক, গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিক্যাল কলেজ (সাভার)।