সাতকাহন২৪.কম ডেস্ক
দৈনন্দিন জীবনের কর্মব্যস্ততা, অর্থনৈতিক-পারিবারিক-সামাজিক চাপ ইত্যাদি মিলিয়ে বর্তমান সময়ের মানুষ যেন আগের চেয়ে বেশি অস্থির। নিজের দিকে তাকানোরও যেন সময় নেই অনেকের।
আর নিজেকে অবহেলা ও ফাঁকি দেওয়ার কারণে দেহে বাসা বাঁধছে বিভিন্ন অসুখ। তবে একটু সচেতন হলেই কিন্তু এসব অভ্যাস এড়িয়ে সুস্থ থাকা যায়। দেহের নিরবে ক্ষতি করে, এমন কিছু দৈনন্দিন ক্ষতিকর অভ্যাসের কথা জানিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।
টানা বসে থাকা এবং নড়াচড়া না করা
বাসা কিংবা অফিসে টানা বা দীর্ঘক্ষণ বসে থাকা নিরবে দেহের ক্ষতি করে। এতে পেশি দুর্বল হওয়া, বিপাক ক্ষমতা কমে যাওয়া এবং মেরুদণ্ডের ওপর চাপ বাড়ার আশঙ্কা থাকে। এসব থেকে মুটিয়ে যাওয়া, ডায়াবেটিস ও হার্টের রোগ হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। একটু হাঁটাহাঁটি বা স্ট্রেচ করা, অর্থাৎ সামান্য একটু নড়াচড়াও দেহকে অনেকটা সুস্থ রাখতে পারে।
খাবার না খাওয়া বা অসময়ে খাওয়া
সকালের খাবার না খাওয়া বা ভুলভাল সময়ে খাবার খাওয়া হজমের সমস্যা করে এবং রক্তের সুগারের মাত্রার তারতম্য ঘটায়। দীর্ঘদিন এমন চললে অবসাদ, বিরক্তি ও দিনের অন্য সময়ে বেশি খাওয়ার প্রবণতা তৈরি হয়। আমাদের দেহ ধারাবাহিকতা চায়। তাই ভারসাম্যপূর্ণ খাবার খাওয়া জরুরি। এতে দেহের শক্তির মাত্রা ঠিক থাকে, পাশাপাশি কাজেও ফোকাস রাখা যায়। দৈনন্দিন জীবনের এসব ছোট ছোট অভ্যাসগুলো দেহকে দীর্ঘমেয়াদে ভালো রাখে।
কম ঘুম
পর্যাপ্ত ঘুম দেহের জন্য বেশি জরুরি। একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের দৈনিক সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন। এর ঘাটতি হলে মেজাজ ও সম্পর্কে ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে। কম ঘুম স্মৃতিশক্তি দুর্বল করে দেয়, বিপাক ক্ষমতা কমায় এবং বিভিন্ন দীর্ঘমেয়াদে রোগের উৎপত্তি ঘটায়।
স্ক্রিনে বেশিক্ষণ থাকা
মোবাইল, কম্পিউটার ও ল্যাপটপের স্ক্রিনে বেশিক্ষণ সময় কাটালেও দেহের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে। হয়তো মুহূর্তেই বিষয়টি বুঝতে পারবেন না। তবে অনেকদিন এমনটা চলতে থাকলে উদ্বেগ, হতাশা, একাকিত্ব ও ঘুমের সমস্যার মতো অসুবিধাগুলো তৈরি হয়। তাই দিনের একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য স্ক্রিন থেকে দূরে থাকুন। একদম নিজের সঙ্গে সময় কাটান।



