রফিক – উল – আলম
আজ ১লা জুন, পুরো মাসটিই ‘ওয়ার্ল্ড ইনফার্টিলিটি অ্যাওয়ারনেস মান্থ’। তাইতো যারা বহুদিন ধরে সন্তান নেওয়ার চেষ্টা করছেন, তাদের আমি মূল কয়টি বিষয় উল্লেখ করে সচেতন করার চেষ্টা করবো।
১. মনে রাখবেন, যার যত বড় সমস্যাই থাকুক, গর্ভধারণ করতে সর্বোচ্চ এক বছরের বেশি কখনই লাগার নয়!
২. সন্তান হচ্ছে না অর্থই, কোথাও না কোথাও, কোনো না কোনো সমস্যা রয়েছেই (কারণ, আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে সন্তান না হবার পেছনে ব্যাখ্যা নেই, এমন কারণ কার্যত নেই বললেই চলে)। আর তাই চিকিৎসার শুরুতেই সেই সমস্যাগুলো খুঁজে বের করে বা সন্তান না হবার কারণগুলো চিহ্নিত করে নিয়ে তবেই এগোবেন।
৩. ইনফার্টিলিটি ট্রিটমেন্ট (বন্ধ্যত্ব চিকিৎসা), আইভিএফের ক্ষেত্রে কাকে দেখাবেন, কোথায় যাবেন, সেই বিষয়ে এর-তার কাছে শোনা কথায় না দৌঁড়ে, বা কোনো বিজ্ঞাপনে আকৃষ্ট না হয়ে, শুধুমাত্র জেনে-শুনে, বুঝে, নিজ বুদ্ধি, বোধ দ্বারা যাচাই করে তবেই এগোবেন।
৪ সন্তান পেতে চাইলে তাৎক্ষণিকভাবে গর্ভধারণের সময়টাও নিজেদেরই ঠিক করে নিতে হবে। অর্থাৎ আপনার ইনফার্টিলিটি জার্নি তিন থেকে ছয়, নাকি নয় মাসের মধ্যে শেষ করবেন, তা ঠিক করতে না পারা মানেই আবার সেই গাড্ডাতেই পড়ে থাকা। জানবেন, কোনো বুজরুকি বা অলৌকিকতায় অন্তত বন্ধ্যত্ব সমস্যার সমধান হয় না। এই জন্য দরকার শুধুমাত্র উপযুক্ত চিকিৎসার।
আমি মনে করি এবং সবসময়ই বলি, একমাত্র সচেতনতাই একটানে ইনফার্টিলিটি জার্নিকে শেষ করে দিতে পারে।
‘কমলা’ বন্ধ্যত্ব সচেতনতার রঙ – এটি সাধারণ সুস্থতা, ইতিবাচক মনোভাব, সহানুভূতি ও সৌহার্দ্যতার অনুভূতি প্রচার করে। তাইতো আমিও কমলা রঙের আবির ছড়িয়ে সাতকাহনের বন্ধুদের সামনে হাজির, সেই একটি কথাই বলতে, নিজের সমস্যা, নিজের চিকিৎসাসহ বন্ধ্যত্ব সম্পর্কে সকল বিষয়ে সচেতন হোন। সচেতনতাই আপনার সফলতার মূল মন্ত্র, একমাত্র চাবিকাঠি।
লেখক :
ইনফার্টিলিটি কাউন্সেলর;
ইম্পালস হাসপাতাল, ঢাকা