ডা. দবির হোসেন
অপেক্ষার পালা শেষ করে চলে এলো পবিত্র মাহে রমজান। যেহেতু এই সময়ে আমাদের দৈনন্দিন রুটিনের একটি পরিবর্তন আসে তাই স্বাস্থ্য সুরক্ষায় কিছু বাড়তি যত্ন নেওয়া জরুরি। রমজানে কীভাবে নিজেকে ফিট রাখতে হবে, সেই নিয়েই আজকের আলোচনা।
- নামাজ একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত, তাই সঠিক উপায়ে নামাজ পড়া, বিশেষ করে সঠিক উপায়ে রুকু ও সিজদার দিকে মনযোগ দিতে হবে। এতে করে দেহের অ্যান্টিগ্র্যাভিটি পেশিগুলো ফ্লেক্সিবল বা নমনীয় হয়।
- পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান, ইফতার থেকে নিয়ে সেহরি পর্যন্ত মোট আট থেকে ১০ গ্লাস পানি পান করা।
- যেসব খাবারে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম সেগুলোর পরিমাণ বাড়ানো, বিশেষ করে আঁশ জাতীয় খাবার খাওয়া। তেল/ভাজাপোড়া একদম না খাওয়া।
- যারা জিম করেন বা ওয়েট লিফটিং করেন তারা ইফতারের দুই ঘণ্টা পর হালকা ব্যায়াম করবেন। অন্য মাসের তুলনায় রমজানে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ ব্যায়ামের মাত্রা কমিয়ে আনবেন।
- যারা শারীরিক চর্চা করে অভ্যস্ত, তারা নতুন কোনো কিছু যোগ করবেন না এই মাসে। বিশেষ করে যারা কার্ডিও এক্সারসাইজ করেন তারা এক ঘণ্টার বেশি ব্যায়াম না করাই ভালো।
- চেষ্টা করবেন হালকা ব্যায়াম (যেমন: স্ট্রেচিং এক্সারসাইজ ও কার্ডিও এক্সারসাইজ) এসব করার সময় তিন থেকে চারজন মিলে করতে। এতে মানসিকভাবে একটা সহযোগিতা পাবেন।
- দিনের বেলায় সুযোগ হলে ৩০ থেকে ৪০ মিনিটের পাওয়ার ন্যাপ নিতে পারেন, এতে করে শরীর ও ব্রেইন চাঙ্গা থাকবে৷
- রমজানে পর্যাপ্ত ঘুম ও ইবাদাত করতে হলে নিয়ম মেনে ব্যায়াম করা এবং স্বাস্থ্য সম্মত খাবারের কোনো বিকল্প নাই। তাই এসব বিষয় সঠিকভাবে মেনে করুন।
লেখক : জুনিয়র কনসালটেন্ট, পেইন ম্যানেজমেন্ট রিজুভা ওয়েলনেস