Wednesday, January 22, 2025
spot_img
Homeস্বাস্থ্যকাহনঘরোয়া টোটকাব্যস্ত দিনেও সুস্থ থাকার ছয় উপায়

ব্যস্ত দিনেও সুস্থ থাকার ছয় উপায়

সাতকাহন২৪.কম ডেস্ক

কাজের ব্যস্ততার কারণে দেহের যত্নে অবহেলা করে ফেলেন অনেকেই। আর এই অবহেলার নেতিবাচক প্রভাব একটা সময় দেহের ওপর মারাত্মকভাবে পড়ে। তখন হয়তো বিছানা থেকে উঠার আর কোনো শক্তিই অবশিষ্ট থাকে না।

তাই কাজের ব্যস্ততার ভেতরেও শরীরের যত্ন নেওয়া জরুরি। ভীষণ কাজের চাপের সময়েও দেহের যত্ন নেওয়ার কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ জানিয়েছে জীবনধারাবিষয়ক ওয়েবসাইট ওইকিহাউ।

স্বাস্থ্যকর খাবার খান
ব্যস্ত রয়েছেন বলে অনলাইনে পিৎজা বা বার্গার অর্ডার করে খেয়ে ফেললেন, তা কিন্তু চলবে না। এসব ফাস্টফুড জাতীয় খাবারের পরিবর্তে ঘরে খুব সহজে তৈরি করা যায়, এমন কিছু খান।

প্রয়োজনে বাজার থেকে রেডিমেড রুটি আনিয়ে রাখুন, যেন কেবল ভেজে নিলেই খাওয়া যায়। এ ছাড়া বাজার থেকে কাটা সবজি বা মাংসও আনিয়ে রাখতে পারেন। যেন কাটাকাটির ঝামেলা ছাড়াই সহজে রান্না করা যায়। আর রান্নার সময় খাবারটি খুব তেল-মশলা দিয়ে ভুনতে না গিয়ে, একটু সিদ্ধ করে খান। এতেও সময় বাঁচবে। এ ছাড়া খুব ব্যস্ততার সময় লো ফ্যাট বিস্কুট, বাদাম ও ফল ইত্যাদি স্বাস্থ্যকর খাবারও খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন।

পরের দিন অফিসে কী খাবেন ঠিক করুন
অফিসে যাওয়ার আগে সকালবেলা তাড়াহুড়া করে খাবার তৈরি করতে না গিয়ে আগের দিন রাতেই ঠিক করে রাখুন কী খাবেন। এ ক্ষেত্রে প্রোটিন সালাদ তৈরি করতে পারেন। এখানে মাংস ও সবজি দুটোই একসঙ্গে থাকে, আর দেহ শক্তিও পায়।

সকালের খাবার বাদ দেবেন না
ব্যস্ত থাকলে তাড়াহুড়ায় অনেকেই সকালের খাবার বাদ দেয়। এটি একদমই করা যাবে না। সকালের নাস্তা আমাদের সারাদিনের কাজ করার শক্তি দেয়। এটি বাদ দিলে ক্লান্ত, অলস ও বিরক্ত লাগবে। এতে কাজের গুণগত মান কমবে। তাই সকালে নাস্তা অবশ্যই করুন।

পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করুন
অতিরিক্ত ক্যাফেইন (চা ও কফি) ও মিষ্টিজাতীয় খাবার দেহকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। এর বদলে স্বাস্থ্যকর তরল জাতীয় খাবার খান। পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করুন। চিনিহীন ফলের রস খেতে পারেন।

ব্যায়ামের জন্য সময় বের করুন
যতই ব্যস্ত থাকুন না কেন ব্যায়ামের জন্য অন্তত ৩০ মিনিট সময় রাখুন। প্রতিদিন না হলেও সপ্তাহে অন্তত পাঁচ দিন ব্যায়াম করুন। সেটাও করতে না পারলে গান শুনতে শুনতে অন্তত ১৫ মিনিট নাচুন। এতেও দেহ সক্রিয় থাকবে।

মানসিক চাপ কমান
অতিরিক্ত ব্যস্ততা উদ্বেগ, অবসাদ ও বিরক্তি ইত্যাদি মানসিক চাপ তৈরি করে। তবে এসবের মাঝেও জীবনের লক্ষ্যগুলো তো পূরণ করতেই হবে। হাল ছেড়ে বসে থাকলে তো চলবে না। তাই মানসিক চাপ ব্যবস্থাপনা শিখুন।

এ ক্ষেত্রে নেতিবাচক বিষয়ে মনোযোগ না দিয়ে ইতিবাচক চিন্তা করুন। নেতিবাচক ভাবনা আসবেই। তবে একে সরিয়ে ইতিবাচক ভাবনায় মনোনিবেশ করাটা জরুরি। পাশাপাশি ধ্যান, আধ্যাত্মিক কাজে সক্রিয় থাকাও মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করবে। এ ছাড়া একটু সময় পেলে বেড়াতে যাওয়া, ছবি দেখা, ভালো সঙ্গীত শোনা ইত্যাদিও মানসিক চাপ থেকে মুক্তি দেবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments