সাতকাহন২৪.কম ডেস্ক
আজ বিশ্ব স্ট্রোক দিবস। স্ট্রোক সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে প্রতি বছর ২৯ অক্টোবর বিশ্বব্যাপী দিনটি পালন করা হয়। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য, ‘একত্রে আমরা স্ট্রোকের চেয়ে বড়’।
সাধারণত মস্তিষ্কের রক্তবাহী নালীর দুর্ঘটনাই হলো স্ট্রোক। এ দুর্ঘটনায় কখনো কখনো রক্তনালী বন্ধ হয়ে যায়। আবার কখনো নালী ফেটে যায়। জীবনযাপনের কিছু বিষয় রয়েছে যেগুলো নিয়ন্ত্রণে আনতে পারলে স্ট্রোক অনেকটাই প্রতিরোধ করা সম্ভব। স্ট্রোক প্রতিরোধে কিছু বিষয় জানিয়েছে স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট হাভার্ট হেলথ পাবলিশিং।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা
উচ্চ রক্তচাপ স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। স্ট্রোক প্রতিরোধ করতে চাইলে অবশ্যই রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখুন। এটি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত লবণ, কোলেস্টেরল বাড়াবে এমন খাবার (যেমন : বার্গার, চিজ, আইস ক্রিম ইত্যাদি) খাওয়া কমাতে হবে। পাশাপাশি ধূমপান ও মদ্যপান এড়িয়ে যাওয়া জরুরি। নিয়মিত
ব্যায়াম করাও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে কার্যকরী।
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা
দেহের বাড়তি ওজনের সঙ্গে উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসের সম্পর্ক রয়েছে। ওজন নিয়ন্ত্রণে না থাকলে স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে। এমনকি ১০ পাউন্ড কমলেও দেহের জন্য বিশাল উপকার হয়। নিয়মিত ব্যায়াম ও ভারসাম্যপূর্ণ খাদ্যতালিকা ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করবে।
বেশি ব্যায়াম করা
ব্যায়াম উচ্চ রক্তচাপ প্রতিরোধ করে। পাশাপাশি এটি স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়। গবেষণায় বলা হয়, সপ্তাহে অন্তত পাঁচ দিন মধ্যম মানের ব্যায়াম দেহের অনেক রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা
রক্তের মধ্যে অতিরিক্ত সুগার রক্তনালীকে ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং রক্ত জমাট বাঁধায়। এতে স্টোকের ঝুঁকি বাড়ে। তাই রক্তের সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। এ ক্ষেত্রে নিয়মিত চিকিৎসকের কাছে গিয়ে ডায়াবেটিস পরীক্ষা করান। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যায়াম ও নিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাসের পাশাপাশি নিয়মিত ওষুধ সেবন করুন।
ধূমপান ত্যাগ করুন
ধূমপান করলে রক্ত পাতলা হয়ে আর্টারিতে প্লাকের সৃষ্টি হয়। এটি স্ট্রোকের আশঙ্কা বাড়িয়ে তোলে। তাই স্ট্রোক প্রতিরোধে ধূমপান এড়াতেই হবে। ধূমপান কীভাবে এড়াবেন, এ বিষয়ে চিকিৎসকের গাইনলাইন নিন। গাইডলাইন সঠিকভাবে মেনে চললে ধীরে ধীরে অভ্যাসটি পরিবর্তন করা সম্ভব।