সাতকাহন২৪.কম ডেস্ক
একজন নারী ৩০ বছর বয়সে পা দিলে তার পুষ্টির চাহিদার পরিবর্তন হয়। এই সময় ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনে নতুন চ্যালেঞ্জ ও সুযোগের দ্বার উন্মুক্ত হতে থাকে। অনেক নারীকেই একত্রে পরিবার ও ক্যারিয়ার সামলাতে হয়। আর এসব দায়িত্ব ঠিকঠিকভাবে পালন করতে শরীরকে পুষ্টিকর খাবার দেওয়া জরুরি।
স্বাস্থ্যকে ভালো রাখতে ত্রিশোর্ধ্ব নারীর জন্য খাওয়া জরুরি এমন কিছু খাবারের কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট হেলথআপ্টা।
সবুজ শাক-সবজি
৩০ বছর হয়ে গেলে একজন নারীকে অবশ্যই তার খাদ্যতালিকায় সবুজ শাক-সবজি রাখতে হবে। যেমন : পালং শাক, চিচিংঙ্গা, লাউ ইত্যাদি। এসব সবজি ভিটামিন, মিনারেল ও অ্যান্টি অক্সিডেন্টে ভরপুর। এগুলো সম্পূর্ণ স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।
ফ্যাটি ফিস
স্যামন, ম্যাকরল, সারদিন ইত্যাদি ফ্যাটি ফিস বা চর্বিযুক্ত মাছ ত্রিশোর্ধ্ব নারীর খাদ্যতালিতায় রাখা জরুরি। এসব মাছ ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিডের চমৎকার উৎস। এতে থাকা স্বাস্থ্যকর চর্বি মস্তিষ্ক ও হার্টের কার্যক্রম ভালো রাখে এবং মন-মেজাজও ঠিকঠাক রাখে।

বেরি
স্ট্রেবেরি, ব্লু বেরি, রাস বেরি, ব্ল্যাক বেরি ইত্যাদি একজন নারীকে ত্রিশের পর সুস্থ রাখে। এগুলো অ্যান্টি অক্সিডেন্টে ভরপুর খাবার। এসব খাবার ফ্রি রেডিকেলের সঙ্গে লড়াই করে অকাল বার্ধক্য প্রতিরোধ করে।
হোল গ্রেইন
বাদামি চাল, ওটস, বাদামি রুটি ইত্যাদি হোল গ্রেইন বা ভূসি ও ভূসিসমেত খাবার ত্রিশের পর খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন। এগুলোর মধ্যে থাকা কমপ্লেক্স কার্বহাইড্রেট দিনভর একজন নারীকে কর্মক্ষম রাখতে উপকারী।
বাদাম ও বীজ জাতীয় খাবার
ত্রিশের পর যেকোনো নারীর প্লেটে বাদাম ও বীজ জাতীয় খাবার থাকা জরুরি। এগুলোর মধ্যে রয়েছে স্বাস্থ্যকর চর্বি, প্রোটিন, ভিটামিন ও মিনারেল। এসব পুষ্টি পেতে কাঠবাদাম, ওয়ালনাট, চিয়া সিড, ফ্ল্যাক্সসিড ইত্যাদি খাদ্যতালিকায় রাখুন। এসব খাবারে থাকা পুষ্টি মস্তিষ্ক ভালো রাখে এবং দেহের প্রদাহ কমায়। পাশপাশি হৃদরোগ ও বিভিন্ন ধরনের ক্যানসার প্রতিরোধে সাহায্য করে।
দুগ্ধ জাতীয় খাবার
দুধ, দই ইত্যাদি ত্রিশের পর হাড়ের স্বাস্থ্যকে ভালো রাখে। পাশাপাশি দইয়ের মধ্যে থাকা ভালো ব্যাকটেরিয়া গাটের স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী।
ডিম
ত্রিশ বছর বয়সের পর নিয়মিত খাদ্যতালিকায় ডিম রাখুন। ডিমে রয়েছে উচ্চ পরিমাণ প্রোটিন, ভিটামিন ও মিনারেল। এসব পুষ্টিগুণ দেহের পেশিকে সুগঠিত রাখে এবং চোখ ভালো রাখতে সাহায্য করে।