ডা. হালিদা হানুম আখতার
জরায়ুমুখের ক্যানসার নারীর ক্যানসারের মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। নারীর জরায়ুর নিচে একটি মুখ থাকে। সেখানে ক্যানসার হতে পারে।
এটি সাধারণত হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস বা এইচপিভি- এর সংক্রমণে হয়ে থাকে। তবে সম্প্রতি বিজ্ঞান এতো এগিয়েছে, এইচপিভির বিরুদ্ধে ভ্যাকসিন তৈরি হয়েছে। সবচেয়ে সুখকর খবর হচ্ছে, আমরা বাংলাদেশে এই ভ্যাকসিন নিয়ে এসেছি। ইপিআই-এর মাধ্যমে এটি দেওয়া হয়।
নয় থেকে চৌদ্দ বছর বয়স পর্যন্ত যে মেয়েরা রয়েছে তাদের একটি ডোজ টিকা দিলে, তার জরায়ুমুখের ক্যানসার প্রতিরোধ হয়। আবার ২৬ বছর পর্যন্ত যারা রয়েছে, টিকা নেয়নি, ক্যানসার হয়নি, তারাও তিন ডোজ নিলে ক্যানসারটি প্রতিরোধ করা যায়।
যেকোনো ক্যানসার বেশি হলে ভোগান্তি বাড়ে, পরিবারের অনেক টাকা খরচ হয় এবং রোগীরও কষ্ট বাড়ে। তাই, নারীদের সময় থাকতেই চিকিৎসকের কাছে গিয়ে প্রতি বছর জরায়ুমুখের পরীক্ষার জন্য ভায়া টেস্ট এবং প্রয়োজনে প্যাপস্মেয়ার টেস্ট করিয়ে নিতে হবে। পাশাপাশি বাড়িতে, নয় থেকে ১৪ বছর বয়সের কন্যা সন্তান থাকলে এইচপিভি ভ্যাকসিন স্কুল থেকে বা কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে বা ভ্যাকসিন দেয় এমন প্রোগরামের মাধ্যমে দেওয়ানো জরুরি। এসব পদ্ধতি গ্রহণ করলে জরায়ুমুখের ক্যানসার প্রতিরোধ করা সম্ভব।
লেখক : রোকেয়া পদকে ভূষিত বিশিষ্ট নারী ও প্রজনন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ।
