ডা. দবির হোসেন
২০২৪ সালের ফিজিওথেরাপি দিবসে কোমরব্যথাকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। ৮ সেপ্টেম্বর, ফিজিওথেরাপি দিবসের প্রতিপাদ্য ‘কোমর ব্যথা ব্যবস্থাপনা ও প্রতিরোধে ফিজিওথেরাপিস্টের ভূমিকা রয়েছে’।
এই রোগের পেছনে অনেক কারণ থাকতে পারে। কারণ সঠিকভাবে নির্ণয় করা গেলে একজন ফিজিওথেরাপিস্টের জন্য চিকিৎসা করা সহজ হয়। কোমরব্যথার বিভিন্ন কারণের মধ্যে রয়েছে- মেকানিক্যাল পেইন, নন মেকানিক্যাল পেইন, প্যাথলজিক্যাল পেইন ইত্যাদি। কোমরব্যথা যে কারণেই হোক না কেন, রোগ নির্ণয়ের পর ফিজিওথেরাপি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
বর্হিবিশ্বের মতো এখন এশিয়াতেও ফিজিওথেরাপিকে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসা পদ্ধতি হিসেবে ধরা হচ্ছে। শুধু কোমরব্যথাই নয়, যত ধরনের প্যারালাইসিস রোগী রয়েছে প্রত্যেকের ক্ষেত্রে এটি এখন গ্রহণযোগ্য ও উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থা।
কোমরব্যথা প্রতিরোধে ফিজিওথেরাপি কীভাবে কাজ করে ?
প্রথমত, কোমরব্যথার কারণ পশ্চেরাল হলে সেটি ঠিক করতে ফিজিওথেরাপি ভূমিকা রাখতে পারে। তবে ব্যথা আরথ্রাইটিস বা বাতের কারণে হলে এর মাধ্যমে চিকিৎসা খুবই কার্যকরী। অনেক সময় এসব কোমরব্যথায় দীর্ঘমেয়াদে ওষুধ ক্ষতি বয়ে আনতে পারে।
দ্বিতীয়ত, কোমরের কোনো পেশি বা হাড়ে টান পড়লে বা জয়েন্টে সমস্যা হলে ফিজিওথেরাপি কাজ করে। অনেক সময় এই রোগে সার্জারি ছাড়া মেডিসিন ভালোভাবে কাজ করতে চায় না। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, সার্জারির পরও কেবল মেডিসিন খেলে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হতে পারে। এর চেয়ে বেশি কার্যকর ফিজিওথেরাপি।
তৃতীয়ত, কোমরে কোনো আঘাত পেলে অস্ত্রোপচার বা কাটাছেঁড়া না লাগলে, ওষুধের পাশাপাশি ফিজিওথেরাপি করা যেতে পারে। এখানেও এই চিকিৎসা পদ্ধতির বড় ভূমিকা রয়েছে।
লেখক : জুনিয়র কনসালটেন্ট, পেইন ম্যানেজমেন্ট
রিজুভা ওয়েলনেস