সাতকাহন২৪.কম ডেস্ক
নিশ্চয়ই শুনেছেন, ঘুমের ধরন আপনার জীবন-যাপন ও পেশার মানকে নিয়ন্ত্রণ করে। সাধারণত বলা হয়, একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের দৈনিক সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুম জরুরি।
তবে আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে এর সংজ্ঞাটা কিছুটা ভিন্ন রকম। এখানে দেহের ধরন অনুযায়ী ঘুমের সময়কে নির্ধারণ করতে বলা হয়। আর এই শাস্ত্রে দেহের ধরনও তিন রকম। যথা : ভাতা, পিত্তা ও কাফা। এসব ধরন অনুযায়ী ঘুমের সময়ের বিষয়ে জানিয়েছে যোগব্যায়াম ও আয়ুর্বেদবিষয়ক ইন্সটাগ্রাম পেইজ গ্রি_ইয়গাভইয়াসি।
‘ভাতা’ ধরনের শরীরের জন্য
সাধারণত পাতলা, হাইপারঅ্যাকটিভ বা অতিসক্রিয়, বিশ্রামহীন ও অতিরিক্ত দুশ্চিন্তায় ভোগা শরীরকে ‘ভাতা’ বলা হয়। আপনার দেহ এমন ধরনের হলে দৈনিক সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুম জরুরি। রাতের সময়টুকু ঘুমের জন্য যথেষ্ট না হলে, দুপুরে ভাতঘুম বা ন্যাপও নেওয়া যেতে পারে।

‘পিত্তা’ ধরনের শরীরের জন্য
আপনার দেহ ‘পিত্তা’ ধরনের হলে, অর্থাৎ আপনি মোটামুটি সক্রিয় হলে, আপনার হজম ভালো হলে এবং সারাদিন বেশ কর্মক্ষম থাকলে, সাধারণত ছয় থেকে আট ঘণ্টার ঘুমই যথেষ্ট।
‘কাফা’ ধরনের শরীরের জন্য
শক্তপোক্ত, কম কাজ করা, কিছুটা অলস ধরনের দেহকে সাধারণত ‘কাফা’ বলা হয়। আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ধরনের মানুষের ছয় থেকে সাত ঘণ্টার বেশি ঘুমের প্রয়োজন নেই। পাশাপাশি দুপুরবেলার বিশ্রামও তাদের জন্য একদমই নিষেধ। তাই, জীবনমানকে উন্নত করতে আপনার দেহের ধরন অনুযায়ী ঘুমের সময় নির্ধারণ করুন এবং সুস্থ থাকুন।