সাতকাহন২৪.কম ডেস্ক
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছোটগল্প ‘হৈমন্তী’ নিশ্চয়ই পড়া রয়েছে অনেকের। এই গল্পের প্রধান চরিত্র হৈমন্তী মানসিক চাপের কারণে অসুস্থ পড়লে চিকিৎসক তার পরিবারকে পরামর্শ দিয়েছিলো হাওয়া বদল করাতে। এই হাওয়া বদলটাই ভ্রমণ।
ভ্রমণ মানসিক স্বাস্থ্য ও জীবনকে নতুনভাবে বোঝার জন্য খুব জরুরি। বেড়াতে যাওয়ার কিছু উপাকারী দিকের কথা জানিয়েছে ভ্রমণ ও প্রাণীবিষয়ক ওয়েবসাইট ভিজিটওনাগোরিলা ডটকম।
- ভ্রমণে গেলে বিভিন্ন ধরনের মানুষ, ভিন্ন সংস্কৃতি, জীবনযাত্রা, ভাষা, দৃষ্টিভঙ্গী সম্পর্কে জানা যায়। এটি মানুষকে সহজ ও উদার হতে সাহায্য করে। নিজেকে ও অপরকে জানা-বোঝার পরিধি বাড়ে।
- ভ্রমণ কখনো কখনো মানুষকে তার কমফোর্ট জোন বা আরামের জায়গা থেকে বের করে নিয়ে আসে। নতুনভাবে সব দেখতে ও ভাবতে শেখায়। এতে সমস্যা সমাধান দক্ষতা, স্বাধীনতা ও সহনশীলতা তৈরি হয়; ব্যক্তিগত বিকাশ ঘটে।

- বর্তমান সময়ে মানসিক চাপ খুব প্রচলিত সমস্যা। ভ্রমণ মানসিক চাপকে কমাতে কাজ করে; নিজেকে ফিরে পাওয়া যায়। দৈনন্দিন জীবনের ধারাবাহিক যন্ত্রণা থেকে কিছুটা মুক্তি মেলে।
- সাধারণত বন্ধু বা পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে ভ্রমণ করলে বন্ধন মজবুত হয়। নিজেদের মধ্যে গুণগত সময় কাটাবার কারণে যোগাযোগ বাড়ে এবং একে অপরকে গভীরভাবে বুঝতে পারার সুযোগ বাড়ে। এগুলো সম্পর্ক দৃঢ় করতে জরুরি।
- প্রকৃতির রয়েছে নিজস্ব নিরাময় ক্ষমতা। এটি অনেক সময় কোনো মানুষ বা সঙ্গী পূরণ করতে পারে না। সমুদ্রের তীরে গিয়ে খালি পায়ে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকলে বা পাহাড়ে ট্র্যাকিং করলে প্রকৃতির সঙ্গে যেমন গভীর সংযোগ তৈরি হয়, তেমনি নিজেকেও নতুনভাবে আবিষ্কার করা যায়।



