সুপ্রীতি গোস্বামী
এখনকার পূজা মানেই ঐতিহ্যে আধুনিকতার ছোঁয়া। মহালয়ার সুর বেজে ওঠার পরেই শুরু হয়ে যায় পূজার উত্তেজনা। দিন গুনতে গুনতে আসে সেই তিন দিন—অষ্টমী থেকে বিজয়া। শুধু পোশাক নয়, পুজোর আনন্দে নারীদের অন্যতম আকর্ষণ হলো সাজগোজ, যা নিয়ে তাদের চিন্তার শেষ নেই।
চুলের স্টাইল
অষ্টমীর সকালে হালকা খোঁপা বা খোলা চুলে ফুল গুঁজে নেওয়া যেতে পারে। তবে অষ্টমীর অঞ্জলিতে মানানসই হবে ক্লাসিক খোঁপা, সাদা রজনীগন্ধা বা গাঁদার মালা দিয়ে সাজানো। সন্ধ্যায় ফ্রন্ট ব্রেইড বা ওয়েভি লুক এনে দিতে পারে একেবারে ট্রেন্ডি আবহ।
মেকআপ
দিনের বেলায় রাখতে পারেন ন্যাচারাল লুক—হালকা ফাউন্ডেশন, চোখে টানা কাজল আর লিপ টিন্ট। অষ্টমীর সন্ধ্যায় বা নবমীর রাতে চাইলে ব্যবহার করতে পারেন লাল লিপস্টিক, গ্লিটার আইশ্যাডো। এতে মুহূর্তেই উৎসবের আবহ ফুটে উঠবে।
তবে অবশ্যই ভুলবেন না—বেস মেকআপ হালকা রাখলে গরমে বা ভিড়ে অস্বস্তি কম হবে। দিনের বেলায় অবশ্যই বেস মেকআপের আগে সানস্ক্রিন ব্যবহার করবেন। আর ফাউন্ডেশন অবশ্যই ত্বকের ধরণ অনুযায়ী ব্যবহার করবেন—যেমন অয়েলি ত্বকের জন্য ম্যাট টাচ আর ড্রাই টু কম্বিনেশন ত্বকের জন্য লিকুইড বা ক্রিম বেস ফাউন্ডেশন।
দশমী মানেই সিঁদুর খেলা। সেদিনের জন্য সাদা-লাল কম্বিনেশনের শাড়ির সঙ্গে ট্র্যাডিশনাল ওয়ান বান হেয়ার স্টাইল প্রথম পছন্দ হতে পারে, সঙ্গে কাঠবেলীর গাজরা। হালকা বেস মেকআপের সঙ্গে লাল টিপ আর টানা কাজল বেশ মানানসই।
অলঙ্কার
অষ্টমীতে থাকতে পারে অক্সিডাইজড গয়না, মাটির বা কড়ির গয়না—ভীষণ স্নিগ্ধ লাগে। নবমীতে ডায়মন্ড কাট, মুক্তো বা স্টোনের গয়না বেশ ভালো মানায়, কেননা নবমী মানেই উৎসবের রঙিন মুহূর্ত। দশমীতে শাঁখা-পলা, সোনার ঝুমকা, অক্সিডাইজড গয়না, কাঁটাই-এর গয়না, হালকা কুন্দনের হার বা টেম্পল জুয়েলারি বেশ মানানসই। যেহেতু এখন সবাই সাজে ফিউশন পছন্দ করছে, তাই ঐতিহ্য ও আধুনিকতার মিশেলে সাজ গুছিয়ে নিতে পারেন।
ফাইনাল টাচ বা শেষ স্পর্শ
সাজের শেষে রাখতে পারেন পছন্দের কোনো আতর বা হালকা পারফিউম।



