সাতকাহন২৪.কম ডেস্ক
জীবনে সফল হতে চান? একটু ভেবেছেন, এর জন্য কী কী করছেন? আসলে সফলতা সবসময়ই আমাদের কাছে কিছু বিষয় আশা করে। আর সেটি না হলে কখনো চূড়ান্ত লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব নয়।
সফল হতে হলে জরুরি, এমন কিছু বিষয়ের কথা জানিয়েছে জীবনধারা বিষয়ক ফেসবুক পেইজ সাকসেস ভোকাল। চলুন জানি –
পরিশ্রম
সফলতার জন্য পরিশ্রম করতেই হবে। ভাগ্যের আশায় বসে থাকলে চলবে না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কেউ কঠোরভাবে পরিশ্রম করলেই ভাগ্য সহায় হয়।
ধৈর্য
ধৈর্য হারিয়ে ফেললে যুদ্ধটাও হেরে যাবেন। সফল হতে হলে ধৈর্য রাখতেই হবে। এটি ছাড়া সফলতা ধরা দেয় না।
ত্যাগ
আপনি যা চাইছেন, তার জন্য ত্যাগ বা স্যাকরিফাইস করতে না পারলে সফল হওয়ার চিন্তা ভুলে যান। ধরুন, আপনি চলচ্চিত্রের একজন বড় তারকা হতে চান। এই জন্য আপনাকে কঠিন পরিশ্রম করতে হবে। পাশাপাশি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে একজন সাধারণ মানুষ যা করে (যেমন : একা হাঁটতে বেরিয়ে যাওয়া বা রাস্তায় দাঁড়িয়ে খাবার খাওয়া ইত্যাদি) আপনার নিরাপত্তার জন্য সেসব বন্ধ করতে হবে। মন যা চাইলো, সেটি করা যাবে না। ব্যাপারটা যেকোনো পেশার জন্যই। বড় অর্জনের জন্য, কিছু ছাড় দিতেই হবে।
ধারাবাহিকতা
হয়তো আপনি কোনো ব্যবসা বা কাজ করছেন। একদিন মন চাইলো করলেন, আরেকদিন ঘরে বসে থাকলেন, এভাবে চললে কখনোই সফলতা আসবে না। কেবল কাজটি ধারাবাহিকভাবে করে গেলেই একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছানো যাবে।

নিয়মানুবর্তিতা
প্রেরণামূলক কথা আপনাকে এগিয়ে যেতে হয়তো মানসিক সাহস জোগাবে। তবে নিয়মানুবর্তিতা আপনার সার্বিক বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে। একটি নিয়মানুবর্তী জীবন মেনে চলুন। এতে কাজ গুছানো থাকবে এবং লক্ষ্যেও ভালোভাবে পৌঁছানো যাবে।
আত্মবিশ্বাস
আত্মবিশ্বাস মানে এই নয় যে, কেউ আমাকে পছন্দ করবে। আত্মবিশ্বাস হল সেই বিষয়, যেখানে কেউ আমাকে পছন্দ না করলেও অসুবিধা নেই। আমি কেবল লক্ষ্য অনুযায়ী এগিয়ে যাবো।
উদাহরণ হিসেবে ভারতের জনপ্রিয় কমেডিয়ান ভারতীর কথাই ধরা যাক। সে কেবল ভারতে নয়, এই উপমহাদেশেও জনপ্রিয়। তবে শুরুতে মিডিয়ার গ্ল্যামারাস জগতে খাটো ও স্থূল শারীরিক গঠনের জন্য তাকে বেশ তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করা হয়। তবে আজ সে এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে বড় বড় অনুষ্ঠানগুলোতে তাকে উপস্থাপক হিসেবে ডাকা হচ্ছে। তাই পাছে লোকে কী বলে, বাদ দিন। নিজের কাজের প্রতি ফোকাস থেকে এগিয়ে যান। আত্মবিশ্বাসী হন।