সাতকাহন২৪.কম ডেস্ক
জীবনে চলার পথে এমন কোনো মানুষের সঙ্গে কি পরিচিত বা ঘনিষ্ট হয়েছেন, যে আপনাকে ছাড়তে চায় না, আপনি যখনই ছেড়ে যেতে চাইছেন, হুলুস্থুল করে দুনিয়া এক করে ফেলছে, আবার শক্ত করে হাতটাও ধরছে না ?
এমন অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে হয়তো অনেকেই গেছেন। আসলে এটি যেমন বেদনাদায়ক, তেমন অস্বস্তিকরও। রাতের পর রাত মানসিক যন্ত্রণার সঙ্গে লড়াই করেও আপনি হয়তো কোনো কুলকিনারা খুঁজে পাচ্ছেন না। বার বার মনে হচ্ছে, এতো ভালোবাসা দেখায়, এরপরও মানুষটা কেন এমন করে ? এর উত্তর জানিয়েছে মানসিক স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসইট নো দ্যা ফ্যাক্ট। চলুন জানি –
স্বস্তি ও ঘনিষ্ঠতা
আপনি তাকে যেই স্বস্তি ও ঘনিষ্ঠতা দেন, সেটা সে অন্য কোথাও পায় না। আপনার আচরণ তাকে নিরাপদ বোধ করায়। আর এই জন্য কমিটমেন্টের মতো সিরিয়াস জায়গায় যেতে না চাইলেও, আপনাকে সে ছাড়তে চায় না।
শারীরিক আকর্ষণ
হয়তো সে আপনার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে বেশ আনন্দ পায়। আপনার শারীরিক রসায়ন তাকে এতোটাই তৃপ্ত করে, সে হয়তো অন্য কোথাও সেই পরিপূর্ণতা পায় না। এই জন্যও হয়তো ঘুরে ফিরে আপনার কাছেই আসে।
ইগো তৃপ্ত হয়
আপনার সঙ্গে থাকলে তার ইগো বা অহং তৃপ্ত হয়। হয়তো আপনি তাকে এতোই গুরুত্ব দেন, যেটা তাকে মানসিকভাবে শক্তিশালী বোধ করায়।
একা থাকার ভয়
আপনার দায়িত্ব নেওয়ার মতো হয়তো সে এখনো পরিপক্ব নয়, অথবা সে দায়িত্ব নিতেই পছন্দ করে না। তবে কেবল একা হয়ে যাওয়ার ভয়ে আপনার চারপাশে ঘুর ঘুর করে। মূলত, সে সবসময় মানসিকভাবে একজন সহযোগী চায়, তবে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হতে চায় না।
ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চিত
সে হয়তো নিজেও জানে না ভবিষ্যতে কী চায়? কমিটেড বা প্রতিজ্ঞবদ্ধ হওয়ার আগে তো মানুষটির নিজেকে বুঝতে হবে, সে আসলে কী চায়। হয়তো নিজেকেই সঠিকভাবে বুঝতে পারে না। আজ তাকে ভালো লাগছে, তো আগামীকাল অন্য কাউকে। কেবল সময় কাটানোর জন্য আপনাকে হাতের কাছে রেখে দেয়। আবার হয়তো মনে করে, কোনো দিন আপনার ব্যাপারে তার মন পরিবর্তনও হতে পারে। মূলত, সে নিজে আবেগীয়ভাবে ভারসাম্যহীন। তাই, আপনাকে ছাড়তে চায় না, আবার কমিটেডও হয় না।