সাতকাহন২৪.কম ডেস্ক
ভালো কিছু ঘটাবার জন্য কখনো কখনো রাগ দরকার। আবার কখনো হয়তো ‘রেগে গেলেন তো হেরে গেলেন’। আসলে সম্পূর্ণ বিষয়টিই নির্ভর করে অবস্থা ও সময়ের ওপর।
রাগ করে অবস্থা ভালোর দিকে গেলে বা কোনো কিছু শুধরানো গেলে করা যেতে পারে। তবে বেশিরভাগ সময় অতিরিক্ত রাগ অবস্থাকে অবনতির দিকেই নিয়ে যায়। তখন সব নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে। আর বেশিরভাগ ক্ষেত্রে উত্তেজনার সময় ভালো কোনো সমাধানও খুঁজে পাওয়া যায় না। তাই, রাগের সময় নিজেকে শান্ত রাখার চেষ্টা করাটাই জরুরি। উত্তেজনার সময় নিজেকে নিয়ন্ত্রণে বা শান্ত রাখার কিছু উপায় জানিয়েছে স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট মায়োক্লিনিক।
কথা বলার আগে ভাবুন
উত্তেজনা বা রাগের সময় মুখে যা আসে তাই বলে দেওয়া খুব সহজ। তবে, একটু থামুন। কোনো কিছু বলার আগে ভাবুন- এই কথাটির আসলেই কোনো প্রয়োজন রয়েছে কি না বা এর কারণে পরে কোনো ক্ষতি হতে পারে কি না।
চুপ থাকুন
রাগের সময় চুপ থাকাই বুদ্ধিমানের। উত্তেজনার সময় আমরা এমন অনেক কাজ করি, যা পরে অবস্থার অবনতি ঘটায়। অথবা অবস্থা আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। তাই রাগ বেড়ে গেলে সেই জায়গা থেকে সরে আসুন এবং কিছুক্ষণ চুপ থাকার চেষ্টা করুন। মাথা ঠান্ডা হলে আপনি নিজেই ভাবতে পারবেন কীভাবে এগোলে সুবিধা হবে।
সমাধানের পথ খুঁজুন
যেই চিন্তা আপনাকে রাগান্বিত করবে সেটি ভাবা বন্ধ করুন। হালকা কোনো চিন্তায় মন দিন। এমন কোনো ভাবনা ভাবুন, যা আপনাকে আরাম দেবে। রাগ আসলে শেষ পর্যন্ত সমাধানের পথ নয়। এর চেয়ে কৌশল ও বিচক্ষণতার সঙ্গে বিষয়টিকে ব্যবস্থাপনা করুন।
শিথিলায়ন চর্চা
খুব রেগে গেলে গভীরভাবে শ্বাস নিন। নিজেকে বলুন, ‘সব ঠিক হয়ে যাবে। সব আমার নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে’। এ ছাড়া নিজের চিন্তাগুলো লিখে ফেলতে পারেন। পাশাপাশি আরামদায়ক কোনো সঙ্গীত শুনুন বা যোগব্যায়াম করুন।
আসলে রাগ বা উত্তেজনার সময় হিতাহিত জ্ঞান থাকে না। তবে পরে একটু শান্তভাবে চিন্তা করলেই বোঝা যায়, এই কাজটি না করলেও চলতো। তাই রাগের সময়টি হুট করে লড়াইয়ের মাঠে না নেমে একটু বুদ্ধিমান হোন। কোন লড়াইটি আপনার জন্য জরুরি আর কোনটি নয়, সেটি বিবেচনা করুন। যেই বিষয়টি আপনার জন্য অপকারী, সেখানে শক্তি ও সময় অপচয় না করাই ভালো, তাই নয় কি ?