সাতকাহন২৪.কম ডেস্ক
রবীন্দ্রসংগীত সংগঠন ‘রবিরশ্মি’ গত ৩১ মে, শুক্রবার, সন্ধ্যা ৬ টা ১০ মিনিটে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরে, কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়নে, ‘ওই মহামানব আসে’- শীর্ষক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে গানে গানে রবীন্দ্রনাথকে স্মরণ করে।
‘কবি প্রণাম’ অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন রবিরশ্মির পরিচালক ও বিশিষ্ট রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী মহাদেব ঘোষ। রবীন্দ্রনাথের ১৬৩তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে মহাদেব ঘোষ বলেন, ‘বাংলাদেশের রবীন্দ্রসংগীত চর্চার জগতে ‘রবিরশ্মি’ শিল্পীদের একটি ক্ষুদ্র প্রয়াস এই অনুষ্ঠান। রবীন্দ্রনাথের সাহিত্যে নিবিড়ভাবে অঙ্কিত হয়েছে বাংলাদেশের মানুষ ও প্রকৃতি। বাংলা, বাঙালি ও বাংলাদেশ তাঁর লেখনীতে প্রাণময় পরশে ধন্য হয়েছে। কবিগুরু সর্বদাই মানবতার জয়গান গেয়েছেন।তাঁর জাতীয়তাবোধ বাঙালির অনন্ত প্রেরণার উৎস।’
সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা শিল্পী সোহেলা হোসেন বলেন, ‘রবীন্দ্রনাথের জীবন ও কর্ম আমাদের আলোকিত পথের সন্ধান দেয়। নতুন প্রাণশক্তিতে উজ্জীবিত করে। আমাদের ব্যক্তিগত, সামাজিক ও জাতীয় জীবনের প্রতিটি সমস্যা-সংকটে, আনন্দ-বেদনা এবং আশা-নিরাশার সন্ধিক্ষণে রবীন্দ্রসৃষ্টি আমাদের চেতনায় বারবার স্পর্শ করে।’
সংগঠনের সভাপতি বিশিষ্ট লেখক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব জনাব মোখলেস আলম তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘এই সংগঠনটি ১৯৯৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ‘রবিরশ্মি’র শিল্পীরা রবীন্দ্রনাথের গানকে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এবার এই অনুষ্ঠানটির নামকরণ করা হয়েছে ‘কবি প্রণাম’। আমরা সংগঠন থেকে প্রতি বছর ‘কবি প্রণাম’ বর্ষামঙ্গল, সংগঠনের বর্ষপূর্তি ও বসন্ত উৎসবের আয়োজন করে থাকি।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে শুরু হয় গানে গানে রবীন্দ্রনাথকে শ্রদ্ধা নিবেদন। সম্মেলক গান ‘ প্রখর তপনতাপে’, ‘গানে গানে বন্ধন যাক টুটে’, ‘কোন্ আলোতে প্রাণের প্রদীপ জ্বালিয়ে’, ‘হে নূতন দেখা দিক আরবার’ পরিবেশিত হয়। একক গানে ছিলেন ২৫ জন শিল্পী। অরুণা সরকার গেয়ে শোনান- বরিষধারা মাঝে শান্তির বারি’, মিথিলা ঘোষ পরিবেশন করেন-ছিন্নপাতার সাজাই তরণী’। সুকুমার চক্রর্বতী পরিবেশন করেন-‘নিত্য তোমার যে ফুল ফোটে ফুলবনে।’ মহাদেব ঘোষ গাইলেন, ‘তোমায় নতুন করে পাবো বলে’। অনুষ্ঠানে অন্যান্য শিল্পীদের মধ্যে ছিলেন, বিষ্ণুপদ দাস, জাহানজীব সারোয়ার শিমুল, জয়া গাঙ্গুলি, অর্চনা রায়, দিলীপ কুমার দাস, সৌরভ গাঙ্গুলি, বনশ্রী পাল, শাশ্বতী মাথিন, ময়না দাস, পার্মিনা তোড়া দাস, মণীষা চক্রবর্তী, শাহনাজ পারভীন, তপতী রায়, ভারতী চাকি, মনামী চক্রবর্তী, সুমা চন্দ, নিতা চক্রবর্তী ও শিপ্রা সরকার প্রমুখ।
যন্ত্রণুষঙ্গে ছিলেন, মন্দিরায়-আব্দুল বাতেন, সেতারে- ফিরোজ খান, কি বোর্ডে- রবিনস্ ও তবলায় মো. ফারুক। আলোক সজ্জায়, দিলীপ দাস। সঞ্চালনায় ছিলেন, শাশ্বতী মাথিন ও অরুণা সরকার। অনুষ্ঠান পরিকল্পনা ও পরিচালনায় ছিলেন, সুরকার, বিশিষ্ট রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী ও রবিরশ্মির পরিচালক, মহাদেব ঘোষ।