সাতকাহন২৪.কম ডেস্ক
বর্তমান সময়ে ডেঙ্গু একটি ভয়াবহ রোগের নাম হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই জ্বর কয়েক ধরনের। এর মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ হচ্ছে হেমোরেজিক ডেঙ্গু ফিবার।
হেমোরেজিক ছাড়াও সাধারণ ডেঙ্গুতে দেহের বিভিন্ন অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ডায়াবেটিস রোগীর ডেঙ্গু হলে জটিলতা বাড়ে। তাই, ডায়াবেটিস রোগীকে ডেঙ্গু প্রতিরোধে বিশেষ সতর্ক হতে হবে।
ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালের রেসিডেন্ট ইন কার্ডিওলজি ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. সঞ্জয় শীল জানান, ডেঙ্গু জ্বরে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য যেহেতু যেকোনো অসুস্থতাই ঝুঁকিপূর্ণ, তাই এই ক্ষেত্রে জটিলতাও বেশি। আসলে ডায়াবেটিস রোগীর দেহের বাইরে বা দেহের অভ্যন্তরে অন্যান্যদের তুলনায় সংক্রমণ বেশি হয়। কারণ, রক্তে অতিরিক্ত সুগার থাকলে সেখানে ব্যকটেরিয়া ও অন্যান্য অরগানিজমগুলো খুব তাড়াতাড়ি বাড়ে এবং সমস্যা জটিল হয়ে ওঠে। ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীর জন্য কখনো কখনো ডেঙ্গু প্রাণঘাতী হতে পারে।

ছবি : সংগৃহীত
সমস্যা সমাধানে সবচেয়ে জরুরি হলো, যেকোনোভাবেই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা জানিয়ে ডা. সঞ্জয় শীল বলেন, ‘বয়স, ওজন ও উচ্চতা অনুযায়ী আপনার চিকিৎসক শর্করার গ্রহণের যে টার্গেট (লক্ষ্য) নির্ধারণ করে দেবেন, সেটি মেনে চলুন। যারা ডায়াবেটিসের জন্য মুখের ওষুধ (মেটফরমিন) খাচ্ছেন, তারা সেটি বন্ধ করে ইনসুলিন নিতে পারেন। কিছু ক্ষেত্রে মেটফরমিন খেলে রোগীর এসিডোসিস হতে পারে, যেটি প্রাণঘাতী হয়ে দাঁড়ায়। সুতরাং এসব ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ইনসুলিন ব্যবহার করতে হবে। ইনসুলিন ব্যবহার করে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করাই ভালো।
এ ছাড়া ডেঙ্গু প্রতিরোধে বাসা-বাড়ি, আশপাশ পরিষ্কার- পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। দীর্ঘদিনের জমানো পানি ফেলে দিন। রাতে অবশ্যই মশারি টাঙিয়ে ঘুমাবেন। এই সমটায় ফুল হাতা বা ফুল স্লিভ পোশাক পরুন। মশা নিয়ন্ত্রণে স্প্রে ব্যবহার করতে পারেন- জানান তিনি।