ডা. হালিদা হানুম আখতার
আপনার কন্যাশিশুকে ১৮ বছরের আগে বিয়ে দেবেন না। তাকে স্কুলে যেতে দেবেন, বড় হতে দেবেন; তার শরীর সুস্থ হতে দেবেন।
কোনো কারণে ১৮ বছর বয়সের আগে বিয়ে দিতেই হলে, ২০ বছর বয়স পর্যন্ত সে যেন সন্তানসম্ভবা না হয়। গর্ভ প্রতিরোধের জন্য অনেক ধরনের জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি রয়েছে। সেগুলো ব্যবহার করতে দেবেন। এই ক্ষেত্রে লো ডোজ খাবার ওষুধ রয়েছে, ইমার্জেন্সি কন্ট্রাসেপশন রয়েছে; পুরুষের জন্য কনডম রয়েছে। এসব পদ্ধতি ব্যবহার করে কোনোমতে কন্যাশিশুটি দুইটি বছর কাটিয়ে দিতে পারলে ঝুঁকিপূর্ণ গর্ভ হওয়ার আশঙ্কা থেকে পরিত্রান পাবে।
কোনো কারণে গর্ভধারণ করলে, তাকে সম্পূর্ণ অ্যান্টিনেটাল কেয়ার দিতে হবে। অর্থাৎ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মত অনুসারে গর্ভের সময় যে চারটি সেবা রয়েছে, সেগুলো দিতে হবে।
পাশাপাশি তার প্রসব বা ডেলিভারি সঠিকভাবে করানো জরুরি। প্রশিক্ষণ নেই এমন কোনো দাই বা ব্যক্তির হাতে করানো যাবে না। মাকে হাসপাতালে নিয়ে স্বাভাবিক প্রসব করাতে হবে। পরবর্তী তিন বছর যেন সন্তান না নেয় তার পরামর্শ ও ব্যবস্থা তাকে দিতে হবে। এতে মা ও শিশু উভয়েই সুস্থ থাকবে।
লেখক : রোকেয়া পদকে ভূষিত বিশিষ্ট নারী ও প্রজনন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ