Saturday, July 19, 2025
spot_img
Home Blog

বিশ্ব যোগব্যায়াম দিবস: যোগব্যায়াম করবেন কেন?

সায়মা সাফীজ সুমী; প্রতিষ্ঠাতা ‘প্রশান্তি’
সায়মা সাফীজ সুমী; প্রতিষ্ঠাতা ‘প্রশান্তি’

সায়মা সাফীজ সুমী

বিশ্ব যোগব্যায়াম দিবস আজ। এবার যোগব্যায়াম দিবসের প্রতিপাদ্য ‘এক পৃথিবী, এক স্বাস্থ্যের জন্য যোগব্যায়াম’। মূলত, শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা এবং আধ্যাত্মিক সংযোগ ঘটায় এই ব্যায়াম। যোগব্যায়াম কেন করা জরুরি এই বিষয়ে রইলো আজকের আলোচনা।

  •  ইয়োগা বা যোগব্যায়াম করলে আমাদের কর্টিসল হরমোনের নিঃসরণ হয়। এতে মানসিক চাপ কমে।
  • যেহেতু ইয়োগা করলে মানসিক চাপ কমে, তাই দৈনন্দিন জীবনের অনেক কাজ প্রশান্ত মনে করা যায়।
  •  বিষন্নতা বা ডিপ্রেশন কমাতে ইয়োগার কিছু আসন ও প্রাণায়াম ভালো কাজ করে।
  • যোগব্যায়াম ও মাইন্ডফুলনেস মেডিটেশন আমাদের মানসিক ও শারীরিক শক্তির মাত্রা বাড়াতে পারে। এটি এন্ডোরফিন (ক্যামিক্যাল) নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে এবং আমাদের মস্তিষ্কের জন্য প্রয়োজনীয় রক্তপ্রবাহ বাড়ায়।
  • যারা নিয়মিত ইয়োগা-মেডিটেশন করেন তারা দৈনন্দিন জীবনে অনেক ঠান্ডা মাথায় কাজ করতে পারেন এবং কঠিন পরিস্থিতিতে নিজেকে স্বাভাবিক রাখতে পারেন।

লেখক: প্রতিষ্ঠাতা ‘প্রশান্তি’;
প্রশান্তি একটি মেডিটেশন ও ইয়োগা সেন্টার।

গাজর ত্বকের উপকার করে কীভাবে?

মডেল: লাবণ্য; ছবি: মঞ্জুরুল
মডেল: লাবণ্য; ছবি: মঞ্জুরুল

মাসিক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা

ডা. হালিদা হানুম আখতার
ডা. হালিদা হানুম আখতার

ডা. হালিদা হানুম আখতার

আজ আবারও আমি মাতৃমৃত্যুর কথা নিয়ে আলোচনা করতে চাই। যখন নিরাপদ মাতৃত্ব কথা চিন্তা করবো, তখন মাতৃমৃত্যুর কথা এসেই যাবে।

২০১৬ সালে আমাদের যে মেটারনাল মর্টালিটি সার্ভে হয়েছিল, এর তথ্য নিলে দেখা যাবে কী কী কারণে একজন মা-কে তার গর্ভের কারণে মারা যেতে হচ্ছে। সবচেয়ে বড় যে কারণ, সেটা হলো অতিরিক্ত রক্তপাত। এটি ২৯ শতাংশ। আরেকটি হলো, একলামসিয়া বা খিঁচুনি। আবার তার আগের কোনো রোগ থাকলে যেমন ডায়াবেটিস বা হার্টের কোনো রোগ বা কিডনির কোনো রোগ থাকলে গর্ভাবস্থায় জটিলতা হতে পারে।

তবে আরেকটি বিষয় রয়েছে, যেটি নিয়ে আজ আমরা আলোচনা করবো। এটি হলো, গর্ভপাতের জটিলতা। গর্ভপাত অনেক সময় এতো জটিল হয়ে যায়, এতে মাকে মারা যেতে হয়। এটি সাত শতাংশ। সবচেয়ে মজার বিষয় হলো, ২০১০-এ যে সমীক্ষাটা করা হলো, এতে দেখা গেছে, এক শতাংশ মারা গেছে। তবে পরে সেটি বেড়ে গিয়ে সাত শতাংশ হয়েছে। এর মানে ১০০টি মা মারা গেলে সাতটি মা মারা যাচ্ছে গর্ভপাতের জটিলতায়।

গর্ভপাতকে ইংরেজিতে আমরা অনেক সময় অ্যাবরশন বলি। তাহলে প্রশ্ন আসতে পারে গর্ভপাত কেন হচ্ছে? কেন একটি নারীকে গর্ভপাত করাতে হচ্ছে? আমরা যেটি বুঝি, একটি মা গর্ভধারণ করেছে, তবে এই সন্তানটি সে চাচ্ছে না। এই না চাওয়াটা যেকোনো কারণে হতে পারে। তার ব্যক্তিগত কারণে হতে পারে। সে হয়তো লেখাপড়া করছে, এখন সন্তান নেওয়ার সময় নয় বা তার বয়স খুব কম, আরো দেরি করে বাচ্চা নিতে চায়- এইরকম। এসব অবস্থায় তখন তারা বিভিন্ন জায়গায় যায় এই গর্ভকে বাদ দেওয়ার জন্য।

এখন কীভাবে বুঝবে একজন নারী গর্ভধারণ করেছে? সে জানে তার মাসিকটা বন্ধ হয়ে যাবে। সে ঐ সময় গর্ভটা না চাইলে তার জন্য এটি একটি চিন্তার বিষয়। তখন বিষয়টি সেই নারীর অবস্থার ওপর নির্ভর করে। তার টাকা-পয়সা থাকলে সে কোনো ক্লিনিকে গিয়ে ব্যবস্থাটা নিয়ে নেয়। তবে যে দরিদ্র, যার কাছে তথ্য নেই, যার কাছে শিক্ষা না থাকার কারণে সে জানে না যে কোথায় যেতে হবে, তার জন্য সেটি একটি জটিল সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়।

আমি কাজের অভিজ্ঞতায় দেখেছি, গ্রামের মানুষ অনেক সময় এই ক্ষেত্রে কবিরাজের কাছে যায় বা যারা গাছ-পালা নিয়ে সেবা দেয়, তাদের কাছে যায়। তখন তারা হয়তো গাছের শিকড় দিলো, বা গাছের শিকড় থেকে বের করা এমন একটি ওষুধ দিলো, যেটা ব্যবহার করলে, খেলে বা সেই কাঠিটি তার শরীরে ঢুকালে গর্ভপাত হয়ে যাবে। এই রকম একটি অবস্থা তখন হয়ে যায়। এখন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ব্যক্তি বিষয়টি না করলে জটিলতা বেশি হয়। এই জটিলতার কারণে মা-কে মারা যেতে হয়।

জটিলতাটা কী হতে পারে? সংক্রমণ, সেপটিসিমিয়া ও সেপটিক হতে পারে। ভীষণ জ্বর হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এই সময় ভালো চিকিৎসা না হলে সে মারা যেতে পারে।

অনেক সময় কাঠি ঢুকিয়ে দেয় জরায়ুতে। যারা কাজটি করে তারা তো আর প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নয়। তখন কাঠিটি দিয়ে জরায়ু ফুটো হয়ে যায়। তখন পেরিটোনাইটিস হয়ে যায়। ভীষণ জটিল একটি অবস্থা হয়ে, সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা থাকে। অনেক সময় আমরা দেখি, টিটিনাস হয়ে যায়। তখন রোগীর মৃত্যু হয়। এই অবস্থাটি আমরা চাই না।

গবেষণায় দেখেছি, যত নারী গর্ভধারণ করছে, তার ৪৮ শতাংশ বলছে আমি এটি চাচ্ছি না। তো অনেক কারণেই নারীর মাসিক বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

এখন আলোচনার বিষয় হলো, কী করতে হবে? আপনারা জানেন, আমাদের খুব নামকরা একটি পরিবার-পরিকল্পনা প্রোগরাম রয়েছে। আমাদের এখন ৬০ শতাংশ দম্পতি পরিবার-পরিকল্পনা গ্রহণ করে। তবে এরপরও দেখা গেছে, এই পদ্ধতি যাদের গ্রহণ করা বেশি দরকার, এমন ১০ শতাংশ এটি নিচ্ছে না। তাদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা বেশি হচ্ছে।

তাহলে আমি একটু বলতে চাই, এটি সবারই জানা দরকার, আমাদের মাসিক নিয়ন্ত্রণ বলে একটি প্রোগরাম রয়েছে। ১৯৭৪ সাল থেকে আমরা অল্প করে এটি শুরু করেছি, পরে ১৯৭৬ সালে এটি আরেকটু বিস্মৃত হয়েছে। ১৯৭৯ সালে সরকার একে সরকারি প্রতিষ্ঠানে রূপ দিয়েছে। যারা প্যারামেডিকেল ছিলো তাদের এমআর-এর ওপর প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।

এমআর কী? এটি হলো, মাসিক নিয়ন্ত্রণের একটি ব্যবস্থা। একটি ছোট প্লাস্টিক সিরিঞ্জের মাধ্যমে পাতলা স্ট্র দিয়ে টানা হয়, তখন ভেতরে যে তরল পদার্থটি রয়েছে, সেটি বের হয়ে আসে। মাসিক বন্ধ হওয়ার আট বা নয় সপ্তাহের মধ্যে এটি আমাদের করা সম্ভব। সরকার একে পরিবার-পরিকল্পনার অংশ হিসেবে প্রচলন করেন। প্রায় সব সরকারি প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসক প্যারামেডিক এই ব্যবস্থা দিয়ে আসছে। যদিও আমরা দেখছি গত ১০ বছরে এই ব্যবস্থা দেওয়ার সংখ্যাটা কমে এসেছে, এর জন্য গর্ভপাতের জটিলতার সংখ্যাটা বেড়েছে। আমরা জানি, এমআর বা মিন্সট্রুয়াল রেগুলোশনের সংখ্যা কমে যাওয়াতে গর্ভপাতের জটিলতার কারণে মৃত্যু বাড়ছে। তো আমি জনগণের জানার জন্য বলছি, আপনি সরকারি যেকোনো জায়গায় গিয়ে বলবেন, ‘আমি এমআর করতে চাই’। তাহলে তারা এমআর-এর ব্যবস্থা করে দেবে।

২০১৪ সালে সরকার আরেকটি নতুন পদ্ধতি এনেছে। সেটি হলো, খাওয়ার বড়ি। এই বড়ির মাধ্যমেও মাসিক নিয়ন্ত্রণ করানো যায়। তবে সেটি নয় সপ্তাহ পর্যন্ত করানো যায়। ফামের্সিতে গেলেও বলতে পারেন, ‘আমার মাসিক বন্ধ রয়েছে, এটি আমার চালু করতে চাই।

এই জন্য কী ওষুধ রয়েছে?’ তখন তারা আপনাকে ওষুধ দেবে। ওষুধের বক্সে সব লেখা থাকে কীভাবে খেতে হবে বা কী করতে হবে, সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবেন। এই ওষুধ আসার পরে অনেক সহজ হয়েছে।

সুতরাং এসব বিষয় জেনে নিজের মতো ব্যবস্থাপনা নিতে পারলে ভালো। আমাদের দেশে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানও এটি দিচ্ছে। যেমন, মেরিস্টোপ নামে আমাদের সরকারি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তারা এই সেবা দেয়। তাদের যত ক্লিনিক রয়েছে, এখান থেকেই সেবা দেয়। প্রায় ৬০ শতাংশ সরকারি প্রতিষ্ঠান এই সেবা দিচ্ছে। তাই কবিরাজ বা উল্টোপাল্টা কারো কাছে না গিয়ে আপনারা সঠিক প্রতিষ্ঠানে গেলে জটিলতার সম্মুখীন হতে হবে না। নারী মারা যাবে না। আমরা মনে করি, এটি নারী ক্ষমতায়নেরও একটি বিরাট বড় বিষয়। আমি আপনাদের আবারও বলছি, এটি সরকারের অনুমতি করা একটি পদ্ধতি। একে আমরা মিস্টুয়াল রেগুলেশন বা মাসিক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা বলি।

সুতরাং নিজের জীবনকে সুন্দর রাখার জন্য, নিজের জীবন যেন বিপথগামী না হয় বা জটিলতার মধ্যে না পড়ে, এর জন্য আমার মনে হয়, এই মাসিক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা সম্পর্কে আপনার জানা দরকার। প্রয়োজনে ব্যবস্থাপনা নিতে হবে।

আমার এটি বলার উদ্দেশ্য হলো, এই মাসিক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাটা আমি অনেক আগে শিখেছি এবং শিখে মোহাম্মদপুর ফার্টিলিটি ও ট্রেনিং সেন্টারে প্রথম চিকিৎসক হিসেবে এমআর শুরু করি। এরপর এটি সরকার পর্যায়ে যায়। ধীরে ধীরে এর বিস্মৃতি বাড়ে। এটি যে কত নারীকে বাঁচিয়েছে এবং মাতৃত্বকে কত নিরাপদ করেছে এটি বলার কোনো শেষ নেই। তাই বিষয়টি জানিয়ে আমি আপনাদের সচেতন করতে চাই।

লেখক: রোকেয়া পদকে ভূষিত বিশিষ্ট নারী ও প্রজনন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ

কদম ফুলের গল্পে সাজলো বর্ষা—রঙ বাংলাদেশের নতুন সংগ্রহে

ছবি: রঙ বাংলাদেশ
ছবি: রঙ বাংলাদেশ

সাতকাহন২৪.কম ডেস্ক 

বর্ষা এলেই যেসব ফুলের কথা প্রথম মনে পড়ে, তার মধ্যে কদম অন্যতম। বৃষ্টির ফোঁটার মতোই কদম ফুটে ওঠে প্রকৃতির আঁচলে—নিভৃতে, কোমলতায়, যেন জলভেজা দুপুরের শান্ত প্রতিচ্ছবি। তবে কদম শুধু রূপ নয়, বরং এক ঋতুর স্মারক। এটা বলে দেয়, বর্ষা এসেছে। কদমের সুবাস ছড়িয়ে পড়ে হাওয়ায়, জানিয়ে দেয়, প্রকৃতি এখন ভালোবাসার মোহে ভিজে।

আর শহরের মাঝে, কংক্রিটের ভিড়ে কোথাও একটুখানি কদম দেখলেই মন চায় গ্রামে ফিরে যেতে, শালিক-ভরতি আকাশে তাকিয়ে থাকতে, কিংবা বৃষ্টিভেজা মাটির গন্ধে আবার সেই শৈশব খুঁজে নিতে। কদমফুল, যা বাংলার বর্ষার প্রতীক, ভালোবাসার এক মৌন প্রতিচ্ছবি—সে-ই ফুলকে কেন্দ্র করে গড়ে তোলা হয়েছে রঙ বাংলাদেশের পোশাকের গল্প।

বর্ষার মধ্যে রয়েছে রোমান্টিকতা, কখনো বা বিষন্ন আবহ, আবার কখনো উজ্জ্বল আনন্দের প্রতীক, তেমনি রঙ বাংলাদেশের নতুন পোশাক লাইনেও বর্ষার সেই বহুমুখী রূপ প্রতিফলিত হবে। কদমফুলের করা এই থিমে এই সংগ্রহটির মাধ্যমে রঙ বাংলাদেশ বর্ষার স্বতন্ত্র রূপটি উদযাপন করেছে, যেখানে প্রতিটি ডিজাইন, রঙ ও প্যাটার্নের মধ্যে রয়েছে কদম ফুলের চমৎকার কারুকার্য।

এই বিশেষ সংগ্রহে ব্যবহৃত কাপড়ের মধ্যে রয়েছে কটন, যা বেশ আরামদায়ক। সঙ্গে স্কিন প্রিন্টে ফুটে তোলা হয়েছে কদম ফুলের সঙ্গে সবুজের সমারোহ। কদমফুলের থিমে শাড়িতে ব্যবহার করা হয়েছে কটন ফেব্রিক্স। আর ডিজিটাল প্রিন্টের চমৎকার ফুলেল সৌন্দর্য।

পোশাকের ডিজাইনে কদমফুলের প্যাটার্ন, রঙের বাহুল্য এবং আবেগী নকশাগুলোর মধ্যে রঙ বাংলাদেশের ঐতিহ্যের প্রতিফলন দেখা যাবে। পরিবারের সকলে মিলে বৃষ্টিবিলাস করতে বা বাহিরে কোথাও বর্ষা উদযাপন করতে কদমফুল থিমের এই ফ্যামেলি সিরিজটি হবে আদর্শ।

নতুন সংগ্রহের প্রতি আগ্রহী ক্রেতাদের জন্য রঙ বাংলাদেশের ব্র্যান্ড স্টোর এবং অনলাইন প্ল্যাটফর্মে এই পোশাকগুলো পাওয়া যাবে। এই বর্ষায় কদম ফুলের সুবাসে নিজেকে সাজান নতুন এক কবিতায়, রং-এর ক্যানভাসে। বর্ষার সাজে কদমের সঙ্গে নিজেকে ফুটিয়ে তুলতে তাই আজই যোগাযোগ করুন রঙ বাংলাদেশের যেকোনো আউটলেটে। এ ছাড়া ঘরে বসে আরামেই কিনতে চাইলে রয়েছে অনলাইন শপিংয়ের সুবিধা ই-কমার্স সাইট www.rang-bd.com এবং ভেরিফাইড ফেসবুক
পেজ www.facebook.com/rangbangladesh যেকোনো প্রয়োজনে ফোন / হোয়াটসঅ্যাপে রয়েছে 01777744344 এবং 01799998877 নম্বরে।

করোনা বাড়ছে: সচেতন হোন এখনই

ডা. শাকিল মাহমুদ
ডা. শাকিল মাহমুদ

ডা. শাকিল মাহমুদ

করোনার প্রকোপ আবারও শুরু হয়েছে। এই লেখাটি লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশে করোনায় প্রায় তিনজন মারা গেছেন। দুই জন ঢাকায় এবং একজন চট্টগ্রামে এই রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।

বর্তমানে করোনার নতুন যে দুটি সাব-ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়েছে, সেগুলো হলো, এক্সএফজি ও এক্সএফসি। তবে আতঙ্কিত না হলে সতর্ক ও সচেতন হওয়াটা এই মুহূর্তে সবচেয়ে জরুরি। আর এই জন্য আবারও লক্ষণ ও প্রতিরোধ জানার বিকল্প নেই।

লক্ষণ

  • গলাব্যথা
  • শরীর ব্যথা
  • জয়েন্ট ব্যথা
  • শ্বাসকষ্ট
  • নিউমোনিয়ার লক্ষণগুলো থাকতে পারে। তবে জ্বর ও কাশি না-ও থাকতে পারে।

প্রতিরোধে করণীয়

প্রতিরোধগুলো অনেকটা আগের মতোই। যেমন:

  • বাইরে গেলে মাস্ক পরা
  • জনসমাবেশ এড়িয়ে চলা
  • সাবান পানি থেকে অন্তত ২০ সেকেন্ড হাত ধোয়ার চেষ্টা করা।
  • ময়লা হাত দিয়ে নাক- মুখ-চোখ স্পর্শ না করা।
  • পরিবারে প্রবীণ, শিশু, সন্তানসম্ভবা নারী বা অন্যান্য জটিল রোগে আক্রান্ত কোনো ব্যক্তি (যেমন: কিডনি, হার্ট, লিভারে রোগ) থাকলে বাড়তি সতর্কতা নেওয়া।
  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি জাতীয় খাবার খাওয়া। এগুলো পাওয়া যাবে লেবু, মাল্টা, কমলা, পেয়ারা, মরিচ, আমলকী ইত্যাদিতে। এ ছাড়া চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে জিংক ট্যাবলেটও খাওয়া যেতে পারে।

কখন চিকিৎসকের কাছে যাবেন?

প্রচণ্ড শরীর ব্যথা, প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট, শরীরে অস্বস্তি ইত্যাদি হলে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যাবেন।

মোদ্দাকথা, এই ভাইরাস সারাবার জন্য কোনো অ্যান্টিবায়োটিক নেই। তাই প্রতিরোধই অন্যতম উপায়। তাই আতঙ্কিত না হয়ে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিন, সুস্থ থাকুন।

লেখক : চিকিৎসক, গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিক্যাল কলেজ (সাভার)

গরমে ত্বক ভালো রাখবেন যেভাবে

মডেল: লাবন্য; ছবি: মঞ্জুরুল
মডেল: লাবন্য; ছবি: মঞ্জুরুল

ঈদের পর ফিট থাকুন ছয় উপায়ে

ছবি: সাতকাহন২৪.কম ও মঞ্জুরুল আলম; মডেল: জান্নাত
ছবি: সাতকাহন২৪.কম ও মঞ্জুরুল আলম; মডেল: জান্নাত

ডায়াবেটিস: লক্ষণ ও ক্ষতি

ডা. হালিদা হানুম আখতার
ডা. হালিদা হানুম আখতার

ডা. হালিদা হানুম আখতার

আজ আমরা ডায়াবেটিস নিয়ে কথা বলবো। এই কথা বলতে গিয়ে আমি প্রথমে যেটি বলতে চাই, সেটি হলো, আমাদের রক্তের কী কাজ এবং এই রক্তের সঙ্গে ডায়াবেটিসের কী সম্পর্ক।

রক্তের কাজ কী? এর কাজ হলো, আমাদের দেহে নিয়মিত শক্তির জোগান দেওয়া। এ ছাড়া, বায়ু প্রবাহকে দেহের বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যাওয়া, অক্সিজেন নিয়ে আসা, তাপ নিয়ন্ত্রণ করা, দেহের মধ্যে যেসব অপ্রয়োজনীয় পদার্থ বা বর্জ্য রয়েছে, সেগুলো বের করে দিতে সাহায্য করা। এগুলো রক্তের মূল কাজ।

রক্তের সঙ্গে ডায়াবেটিসের কী সম্পর্ক? এটি জানতে হবে। কারণ, ডায়াবেটিস হলে রক্তের মধ্যে মাপতে হয়। তাহলে এই তরলটির মধ্যে কী রয়েছে, যার জন্য আমরা বলি ডায়াবেটিস?

আমরা যেই খাবার খাই, সেগুলো রক্তের মাধ্যমে বিভিন্ন কোষে গিয়ে পৌঁছায়। সেই অঙ্গগুলো তখন কাজ করতে থাকে।
আমরা বিভিন্ন ধরনের খাবার খাই। এর মধ্যে শর্করা ও কার্বোহাইড্রেট একটি প্রধান খাদ্য।

আমাদের দেশে অনেক ভাত বা রুটি খাওয়া হয়। এসব খাবার শর্করার মধ্যে পড়ে। একে রূপান্তর করলে চিনি বা সুগার জাতীয় খাবারে পরিণত হয়। কোষের ভেতর গিয়ে এটি শক্তির উৎস হয়ে যায়। কারণ, শর্করা একেবারে না খেলে আবার দেখা যাবে দেহের কোষ কাজ করতে পারছে না। সুতরাং শর্করা জাতীয় খাবার রক্তের মাধ্যমে বিভিন্ন কোষে যায় এবং কোষ দিয়ে যেসব অঙ্গ তৈরি তাদের কাজ করতে সহায়তা করে।

মস্তিষ্কের ক্ষেত্রে এই জাতীয় খাবারের একটি বিরাট ভূমিকা রয়েছে। শর্করা যথেষ্ট না হলে, মস্তিষ্ক কাজ করে না। স্নায়ুগুলো সঠিকভাবে কাজ করা থেকে বিরত থাকে।

তবে, চিনির পরিমাণ রক্তে বেশি হলে, স্বাভাবিক রেঞ্জ থেকে বেড়ে গেলে, একে আমরা ডায়াবেটিস বলি। আরেকটি অঙ্গ রয়েছে, পেনক্রিয়াস। এই পেনক্রিয়াসের মাধ্যমে ইনসুলিন নামের যে তরল পদার্থ রয়েছে, সেটি বের হয়ে আসে। পেনক্রিয়াস এটি তৈরি করে এবং সে রক্তের মধ্যে একে দিয়ে দেয়। ইনসুলিনের কাজ হলো, রক্তের মধ্যে শর্করার একটি ভারসাম্য রাখা। একটি পরিমাণ রাখা যেটি ক্ষতিকর নয় এবং রক্তের কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। কোষের মধ্যে শর্করা পরিচালনা করতে সাহায্য করে। সুতরাং পেনক্রিয়াস যে অঙ্গটি, এবং এর থেকে যে ইনসুলিন বের হয়ে আসে, এর সঙ্গে ডায়াবেটিসের সম্পর্ক রয়েছে। সুতরাং এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

এখন ডায়াবেটিস হলো কি না, আমরা কীভাবে বুঝবো? এর মধ্যে একটি বিজ্ঞানসম্মত পরিমাপ করার বিষয় রয়েছে। রক্তের মধ্যে চিনি কতখানি, সেটিকে আমরা মাপতে পারি। এখন প্রশ্ন হতে পারে, স্বাভাবিক চিনিটা কী? সেটা দেখা যায়, চার থেকে পাঁচ বা পাঁচ দশমিক পাঁচ মিলিমল পর্যন্ত। এটা স্বভাবিক। একে ডায়াবেটিস বলবো না। এই পরিমাপটা হলো, খাওয়ার আগে। খাওয়ার দুই ঘণ্টা পরে হবে সাত মিলিমল। এই স্বাভাবিক থেকে বেশি হয়ে গেলে, একে আমরা ডায়াবেটিস বলবো। অল্প বাড়লে একে প্রি ডায়াবেটিস বলা হয়। আর বেশি হলে তখন আমরা ডায়াবেটিস বলি।

এখন প্রশ্ন আসে, কীভাবে বুঝবে ডায়াবেটিস হয়েছে? লক্ষণগুলো কী হবে? লক্ষণ হলো, রাতে ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া। সাধারণভাবে হয়তো আপনি রাতে প্রস্রাব করেন না। তবে ডায়াবেটিস যখন হবে মাঝরাতে ঘুম ভেঙে যাবে। আপনাকে বাথরুমে যেতে হবে। আরেকটি হলো, পিপাসা বেশি লাগে। স্বাভাবিকভাবে যা অভ্যাস ছিলো, এর চেয়ে বেশি পিপাসা লাগে। একটু বেশি হলে দেহের ওজন কমে আসে। ক্ষুধাও অনেক সময় বেশি লাগে। খালি খেতে ইচ্ছে করে।

আর এটি যেহেতু বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে আক্রান্ত করে, চোখে ঝাপসা দেখতে পারেন। আরেকটি হলো, হাত-পা ক্লান্ত হয়ে যায়। হাত-পা দুর্বল লাগে। অনেক সময় দেখা যায়, চামড়া শুকিয়ে গেছে। এগুলো খুব সাধারণ উপসর্গ। তবে আমাদের বিষয়গুলো জানা থাকা দরকার।

বেশি সতর্ক করা হয় যেসব বিষয়গুলোতে সেগুলো হলো, ক্ষুধা বেশি লাগা, পিপাসা বেশি লাগা এবং রাতে বাথরুমে যাওয়া। এসব একটু সাবধান হওয়ার মতো লক্ষণ। এখন আপনি হয়তো বলবেন, এসব তো হতেই পারে। হওয়া স্বাভাবিক। তবে সমস্যা হলো, বেশিদিন ধরে এই ডায়াবেটিসের অবস্থান আপনার দেহে থাকলে, বড় বড় জটিলতা হয়। সেগুলো কী হতে পারে? একটি হলো, কিডনি আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। কিডনি প্রস্রাবকে ফিল্টার করে দেহের বর্জ্যগুলো বের করে দেয়। এই অঙ্গটির অনেক জরুরি কাজ রয়েছে আমাদের দেহে। তবে ডায়াবেটিস হলে কিডনির ক্ষতি হয়। এর কার্যক্ষমতাকে কমিয়ে নিয়ে আসে। আমরা ইংরেজিতে বলি, কিডনি ডেমেজ হয়ে যায়।

আরেকটি হলো, আমাদের যে স্নায়ুতন্ত্র রয়েছে, একে ডায়াবেটিস আক্রান্ত করে। এটি হলে নিউরোপ্যাথি হবে। হাত-পা জ্বালাপোড়া করবে বা চিন্তাশক্তি কমে আসবে। ডায়াবেটিস ডিমেনসিয়ারও বড় কারণ। তখন আমরা সুস্থভাবে চিন্তা করতে পারি না। মস্তিষ্ক বা স্নায়ুর কার্যক্রম কমে যায়। আরেকটি দেখেছি যে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে আসে। এর জন্য অনেক সময় দেখবেন, যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে এদের একটি ক্ষত হলে সেটি সহজে সারতে চায় না। অনেক সময় দেখা যায়, পায়ে ক্ষত হয়েছে, কিছুতেই সারছে না।

সেই ক্ষতটা বাড়তে বাড়তে অনেক সময় উপরে উঠে যায়। পা
কেটে ফেলতে হয়। এরকমও আমরা ডায়াবেটিসে অনেক দেখেছি। তখন এই জটিলতাগুলো বাড়ে। বেশিদিন ধরে ডায়াবেটিস অপ্রতিরোধ্য অবস্থায় থাকলে বিভিন্ন বড় অঙ্গ, যেগুলো দেহের মূল কাজগুলো করে, সেগুলো নষ্ট হয়ে যায়।
এগুলো নষ্ট হলে একজন মানুষ খুবই অসুস্থ হয়ে পড়ে।

আরেকটি হলো, চোখে কম দেখে। চোখের যে শক্তি সেটি কমে আসে। কর্নিয়াকে খুব আক্রান্ত করে ডায়াবেটিস হলে। অনেক সময় রেটিনোপ্যথি হয়। চোখের টিস্যু থেকে পানি কমে যাওয়াতে দৃষ্টিটা কমে আসে। কোনো জিনিসের দিকে তাকালে ফোকাস করতে পারে না।

চোখে দেখতে না পারলে কী হয়? ব্যক্তির কার্যক্ষমতা কমে আসে। আরেকটি বিষয় আমরা জানি, নারীর ক্ষেত্রে গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস হলে, তার অনেক জটিলতা হয়। এই জন্য একজন মা গর্ভাবস্থায় থাকলে আমরা ডায়াবেটিস টেস্ট করি। তার ডায়াবেটিস রয়েছে কি না, ব্লাড সুগার স্বাভাবিক কি না, দেখতে হয়। এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

ডায়াবেটিস হলে তার প্রি একলামসিয়া হতে পারে। শিশু বড় হয়ে যেতে পারে। শিশুর আকার মায়ের পেলভিস থেকে বড় হলে প্রসব করার সময় জটিলতা তৈরি হয়। তখন সিজারের দরকার হতে পারে।

আরেকটি বিষয় দেখেছি, ডায়াবেটিস থাকলে সন্তান পেটে বড় হয়ে যায়, পরিপূর্ণ সময়ের আগে প্রসব হয়। ৪০ সপ্তাহে হয়তো ডেলিভারি হওয়ার কথা, সেটি দেখা গেলো ৩৫ সপ্তাহে হচ্ছে। শিশু অপরিপক্ব থাকে, মায়ের জন্য কষ্ট হয়।

আরেকটি বিষয় দেখেছি, মায়ের ডায়াবেটিস থাকলে, মরা বাচ্চা জন্ম নেয়। আগে হয়তো অল্প ডায়াবেটিস রয়েছে, তবে গর্ভ হওয়ার কারণে বেড়ে গেলো, তাতে যেসব মা ও গর্ভস্থ সন্তান দুজনের জন্যই বিরাট জটিলতা হয়। তো এই জন্য ৩০ থেকে ৩৫ বছর বয়সের পরে আমাদের ডায়াবেটিসের পরীক্ষা করা দরকার। আমি সুস্থ রয়েছি কি না জানা প্রয়োজন।

আমি একটি বিষয় সবাইকে আবারও বলতে চাই, বাংলাদেশে এই রোগের প্রকোপ কতখানি। ২০০৯ সালে যে সমীক্ষা হয়েছে ওখানে দেখা গেছে, ১৩ লাখের কাছাকাছি ডায়াবেটিসে মৃত্যু হয়েছে। ডায়াবেটিস টাইপ-টু এর কারণে। আরেকটি হলো, সারাদেশে ৭১ লাখ মানুষ ডায়াবেটিসে ভুগছে। তারা জানে তারা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। তবে ডায়াবেটিস দেহে রয়েছে কি না বা নির্ণয় করা হয়নি, এমন সংখ্যা প্রায় ৩৭ লাখের মতো। আর আরেকটি হলো, প্রতি বছর ১৩ লাখের মতো মানুষের ডায়াবেটিসে মৃত্যু হয়। সুতরাং এটি বিরাট ধ্বংসকারী একটি রোগ। এটি মানুষের জীবনকে ক্ষয় করে দেয়। তার পরিবারের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। ডায়াবেটিস হওয়ার পর দেহের অন্যান্য অঙ্গগুলো আক্রান্ত হলে খরচের পরিমাণ বাড়ে। সুতরাং আমি বলবো, এটি একটি শরীর ধ্বংসকারী রোগ, যার বিষয়ে আমাদের খুবই সচেতন থাকতে হবে। একে আমাদের এড়িয়ে গেলে হবে না। রুটিন ডায়াবেটিস চেকআপ করতে হবে। ৩৫ বছরের পরে এটি খুব জরুরি। ৩৫ বছরের আগে যে ডায়াবেটিস হয় না, তা নয়। তবে এরপরে এর প্রকোপটা বাড়ে। তাই ডায়াবেটিসের নিয়মিত পরীক্ষা করতে হবে।

লেখক : রোকেয়া পদকে ভূষিত বিশিষ্ট নারী ও প্রজনন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ

ঈদ মোবারক

ঈদ মোবারক
ঈদ মোবারক

ঈদের রেসিপি: চিকেন গ্রেভি

চিকেন গ্রেভি; ছবি: সাতকাহন২৪.কম
চিকেন গ্রেভি; ছবি: সাতকাহন২৪.কম

সাতকাহন২৪.কম ডেস্ক

ঈদের আনন্দ মানেই মুখোরোচক খাবারের সমাহার। তবে যেহেতু কোরবানির ঈদে একটু কাজ থাকে বেশি, তাই দ্রুত তৈরি করে নিতে পারবেন এমন একটি রেসিপি জানানো হলো সাতকাহনের পাঠকদের জন্য। সহজে চিকেন গ্রেভি তৈরির এই রেসিপি জানিয়েছেন আমেনা আক্তার।

উপকরণ

এখানে দুইভাবে পেস্ট তৈরি করা হয়েছে। আলাদা আলাদা পেস্টের জন্য উপকরণগুলো দেওয়া রইলো।

পেস্ট-১ তৈরির জন্য

  • টমেটো কুচি- ২ কাপ
  • আদা ছোট টুকরো করে কাটা – ৫ থেকে ৬টি
  • রসুন কোয়া- ৫ থেকে ৬টি
  • ধনে পাতা- আধা কাপ
  • পুদিনা পাতা- সামান্য

পেস্ট তৈরির সব উপকরণ একত্রে ব্ল্যান্ডারে ব্ল্যান্ড করে নিতে হবে এবং আলাদা করে রাখতে হবে।

পেস্ট-২ তৈরির জন্য

  • দই- ১ কাপ
  • ক্যাশোনাট- ১০ থেকে ১৫টি
  • কাঠ বাদাম- ৫ থেকে ৭টি

পেস্ট তৈরির সব উপকরণ একত্রে ব্ল্যান্ডারে ব্ল্যান্ড করে নিন এবং আলাদা করে রাখুন।

রান্নার জন্য উপকরণ

  • মুরগির মাংস- ১ কেজি
  • সয়াবিন তেল- ৪ টেবিল চামচ
  • জিরা- ১ চা চামচ
  • পেঁয়াজ- ৪টি কুচি করে কাটা
  • লবঙ্গ- ৪ থেকে ৫টি
  • দারুচিনি- ১টি
  • কালো গুঁড়া মরিচ- ১ চা চামচ
  • তেজপাতা- ২টি
  • লাল মরিচ গুঁড়া- ১ টেবিল চামচ
  • জিরা গুঁড়া- ১/২ টেবিল চামচ
  • হলুদ গুঁড়া- ১/২ চা চামচ
  • গরম মসলা গুঁড়া- ১ টেবিল চামচ
  • রসুন বাটা- ১ টেবিল চামচ
  • লবণ- স্বাদমতো

যেভাবে তৈরি করবেন

চুলায় কড়াই বসিয়ে তেল গরম করে নিন। এবার রান্নার জন্য রাখা উপাদানগুলো একে একে ঢালুন। নেড়েচেড়ে ভুনা করে নিন। এবার এতে মাংস ছেড়ে দিন। ভালো করে নেড়েছেড়ে ছয় থেকে সাত মিনিট রান্না করুন। এবার পেস্ট-১ (উপরে উল্লেখিত উপকরণ দিয়ে তৈরি) দিয়ে দিন। কিছুক্ষণ নেড়েচেড়ে সামান্য পানি ঢালুন। অনেকটা মাখা মাখা হয়ে তেল উপরে উঠে আসলে পেস্ট-২ ব্যবহার করুন। রান্না হয়ে এলে নামিয়ে নিন। তৈরি হয়ে গেলো চিকেন গ্রেভি।

রেসিপি দিয়েছেন আমেনা আক্তার।
রেসিপি দিয়েছেন আমেনা আক্তার।
- Advertisement -

MOST POPULAR

HOT NEWS