সাতকাহন২৪.কম ডেস্ক
মানুষের দৈনন্দিন জীবন চাপে পরিপূর্ণ। সেটা হোক, মানসিক বা কাজের চাপ। এটি মানুষের জীবনের কঠিন বাস্তবতার নাম। তবে জানেন কি মানুষ চাপে থাকলে তার দেহ থেকে এক ধরনের গন্ধ ছড়ায়? আর সেটি বুঝতে পারে কুকুর। সম্প্রতি একটি গবেষণা এমনটাই বলছে। দ্যা গার্ডিয়ানের প্রকাশিত সংবাদ থেকে এ তথ্য জানা যায়।
আগের করা কিছু গবেষণা থেকে দেখা যায়, শরীরের গন্ধের মাধ্যমে কুকুর মানুষের আবেগগুলো অনেকটাই বুঝতে পারে। সম্প্রতি গবেষণাটিতে বলা হলো, মানুষের কঠিন, ব্যস্ততম দিনগুলোর চাপও কুকুরের পক্ষে বোঝা সম্ভব।
‘এই গবেষণাটিতে আলাদাভাবে দেখা গেছে, মানুষ মানসিক চাপে থাকলে শরীর থেকে এক ধরনের গন্ধ বের হয়। যেটা অন্যান্য সময়ের গন্ধের চেয়ে একটু আলাদা। আর সেটিই ধরতে পারে কুকুর,’ বলেন গবেষণাটির প্রধান গবেষক ও কুইন ইউনিভার্সিটি বেল ফেস্টের পিএইচডি-এর শিক্ষার্থী ক্লারা ওইলসন।
উইলসনের মতে, কুকুরদের ভালোভাবে প্রশিক্ষণ দিলে তারা পোস্ট ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিজ অর্ডারে ভোগা ব্যক্তি এবং যারা প্রচণ্ড মানসিক চাপের কারণে আত্মহত্যার বা আত্মঘাতিমূলক কাজের সিদ্ধান্ত নেয়, তাদের সনাক্ত করতে পারবে। আর এতে অনেক ব্যক্তিকে বাঁচানো সম্ভব হতে পারে।
গবেষকরা প্রাথমিকভাবে অংশগ্রহণকারীদের শ্বাস ও ঘামের নমুনা সংগ্রহ করে। এরপর তাদের মানসিক চাপ তৈরি হবে এমন কিছু গাণিতিক গণনা করায়। কাজ শেষে আবারও তাদের শ্বাস ও ঘামের গন্ধের নমুনা নেওয়া হয়। গবেষণায় অংশগ্রহণকারী অনেকেই জানান, পরীক্ষাটি দেওয়ার সময় তাদের হার্ট রেট, রক্তচাপ বেড়ে গিয়েছিল।
পরে কুকুরকে ঘামের গন্ধু শুঁকালে ৯৩ ভাগ ক্ষেত্রেই তারা সঠিক উত্তরটি দেয়। অর্থাৎ যেসব ব্যক্তির মানসিক চাপ বেশি হচ্ছিলো তাদের কুকুরগুলো সঠিকভাবে সনাক্ত করে পারে।
কুকুরদের ঘ্রাণ শুঁকার ক্ষমতা এবং এর মাধ্যমে কোনো কিছু চিনতে পারার ক্ষমতা মানুষের তুলনায় অনেক বেশি। আর এতেই এটি সম্ভব হয়েছে বলে জানান ভারজিনা টেক ইন ব্ল্যাকসবার্গের অ্যাসিসট্যান্ট প্রোফেসর ড. মার্ক ফ্রি ম্যান। তবে গবেষণাটি থেকে ভালো ফলাফল পেতে আরো পরীক্ষা-নিরীক্ষার দরকার আছে বলে মনে করেন গবেষকরা।