সাতকাহন২৪.কম ডেস্ক
স্বামী-স্ত্রী, বন্ধুত্ব অথবা সহকর্মী- যাই হোক না কেন, বিশ্বাস যেকোনো সম্পর্কেরই ভিত্তি। বিশ্বাস দুর্বল হলে যেকোনো সম্পর্কই ভঙ্গুর হয়ে পড়ে। আর একবার এটি হারালে তা আবার তৈরি করা বেশ কঠিন।
তারপরও হয়তো সম্পর্কের খাতিরে আস্থা তৈরি করার চেষ্টা করতে হয় বা সমস্যাগুলো এড়িয়ে যায় অনেকে। অবশ্য, ততদিনে দেখা যায়, শরীর ও মনের ক্ষতি হয়ে গেছে। অনেক সময় এটি আর্থিক ক্ষতির পর্যায়েও পৌঁছে। তাই একটু বিচক্ষণ হোন। নিজেকে রক্ষা করার জন্য কয়েক ধরনের মানুষকে একদমই এড়িয়ে চলুন বা প্রশ্রয় দেওয়া থেকে বিরত থাকুন। এক কথায়, বিশ্বাস করা থেকে বিরত হোন।
ভারসাম্যহীন মানুষ
যাদের মেজাজ খুব দ্রুত পরিবর্তন হয়, তাদের বিশ্বাস করবেন না। হয়তো আজ আপনাকে কোনো ব্যক্তি একটি প্রতিজ্ঞা করলো, আগামীকাল সেটি ভুলে গেলো এবং লাগাতার কয়েকবার সে একই কাণ্ড ঘটাল- এই ধরনের মানুষকে বিশ্বাস করবেন না।
আবার কিছু ব্যক্তি রয়েছে, যারা আপনাকে একবার সাহায্য করবে, আরেকবার সাহায্য করার কথা বলে কেটে পড়বে। তাদের খেলাতেও পা দেবেন না। এ ধরনের মানুষও শেষ পর্যন্ত ভরসার যোগ্য নয়।
বেশি ভালো
অনেকের ব্যক্তিত্ব এমনিতেই বেশ মিষ্টি হয়। তবে কেউ প্রয়োজনের বেশি ভালো হলে কিন্তু অসুবিধা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায়, এ ধরনের মানুষই পায়ে কুড়ালটা আগে মারে। তাই কেউ অনেক ভালো আচরণ করলেই গলে পড়বেন না। পর্যবেক্ষণ করুন।
যারা সহমর্মি নয়
সহমর্মিতা মানব চরিত্রের বড় গুণ। তারা অন্যকে আবেগীয়ভাবে সহযোগিতা করতে পারে। তারা জানে অন্যকে আঘাত করা বুমেরাং হয়ে তাদের জীবনেই ফিরতে পারে। তবে যারা সহমর্মি নয়, তারা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ভীষণ স্বার্থপর হয়। আর এ ধরনের মানুষ নিজের স্বার্থের জন্য আপনাকে যেকোনো ভাবেই ব্যবহার করবে।
মিথ্যে বলা
মিথ্যে বলা একটি রোগ। অনেকে কখনো কখনো অযথাই এটি করতে থাকে। বলাই বাহুল্য, এ ধরনের মানুষও আপনার বিশ্বাসের যোগ্য নয়। আর একবার যদি বুঝে যান কেউ আপনাকে প্রতারণা করছে, তাহলে পুণরায় তাকে বিশ্বাস করতেও সাবধান।
যারা সবসময় তুলনা করে
যারা সবসময় তুলনা করা বা প্রতিযোগিতাপূর্ণ মানসিকতা পোষণ করে, তারা সাধারণত ভেতরে ভেতরে নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে। তারা আপনাকে নিচে নামানোর জন্য যেকোনো কাজই করতে পারে। তাই এ ধরনের মানুষের প্রতি আস্থা রাখতেও সতর্কতা জরুরি।
সূত্র : ব্রেইন ডোজ