সাতকাহন২৪.কম ডেস্ক
বয়স বাড়তে থাকলে দেহের শক্তি কমে আসে। তাই একটা সময় পর থেকে দেহের বাড়তি যত্ন জরুরি। কোলেস্টেরল, হৃদরোগ, মানসিক চাপ ইত্যাদি কমাতে ৩০ বছরের পর থেকেই কিছু বিষয়ে নিয়মিত নজর দেওয়া ভালো। ৩০ বছরের পরেও দীর্ঘদিন সুস্থ থাকার কিছু উপায় জানিয়েছে বেটারহেলথ।
ঠিকঠাক রাখুন ওজন
ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকলে ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল ইত্যাদি সমস্যা এড়ানো সম্ভব। তাই ডায়েটের দিকে একটু মনোযোগী হোন। অনেকেই কিছুদিন ডায়েট করে ওজন কমে এলেই ছেড়ে দেয়। এটি করবেন না। খাদ্যতালিকা এমনভাবে তৈরি করুন যেন সব খাবার ভারসাম্যপূর্ণভাবে থাকে এবং ওজনও নিয়ন্ত্রণ হয়।
মানসিক চাপ থাকুক দূরে
বললেই তো আর হলো না মানসিক চাপ থেকে দূরে থাকুন। ব্যস্ত আর জটিল জীবনে কত শত যন্ত্রণা তো থেকেই যায়। তবে এসব চাপের ভেতরেও ভালো থাকাটা যে শিখে নিতে হবে। কী করে? ধ্যান বা শিথিলায়নের চর্চা করুন। পাশাপাশি করতে পারেন প্রাণায়াম। আর খুব বেশি সমস্যা হলে সাইকোথেরাপিস্টরা তো রয়েছেনই। তাদের পরামর্শ নিন।
পর্যাপ্ত পানি পান করুন
পানিশূন্যতা দেহে নানা জটিলতা তৈরি করে। প্রতিদিন অন্তত ১০ থেকে ১২ গ্লাস পানি পান করুন। এতে প্রস্রাবের মাধ্যমে দেহের বিষাক্ত পদার্থগুলো দূর হয়ে যাবে।
চিনি জাতীয় খাবার কম খান
দীর্ঘদিন সুস্থ থাকতে অতিরিক্ত চিনি বা মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। অতিরিক্ত চিনি ওজন বাড়িয়ে দেবে। আর স্থূলতা যেসব বিপত্তিগুলো ডেকে আনে তা তো আর অজানা নয়।
পর্যাপ্ত ঘুম ও ব্যায়াম
একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের দৈনিক সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুম জরুরি। ঘুম কোষগুলোকে চাঙা করে পরের দিনের কাজের জন্য প্রস্তুত করে আপনাকে।
ঘুমের মতো আরেকটি জরুরি বিষয় হলো ব্যায়াম। প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট ব্যায়াম করুন। সবসময় যে ভারী ব্যায়াম করতে হবে তা নয়। হাঁটা, সাইকেলিং, দৌড়ানোও দেহের জন্য বেশ ভালো। নিয়মিত করতে পারেন যোগাসনও।