সাতকাহন২৪.কম ডেস্ক
ওজন কমানো নিয়ে দুশ্চিন্তার শেষ নেই অনেকের। অনেকে আবার দুশ্চিন্তা বা বিষণ্ণতায় পড়ে বেশি খাওয়া শুরু করে দেয়। আর এতে রেহাই তো মেলেই না, উল্টাে ওজন বাড়ে। তবে একটু সতর্ক হয়ে কিছু বিষয় মেনে চললে কিন্তু কয়েক মাসের মধ্যেই ধীরে ধীরে এটি কমানো সম্ভব। ওজন কমানোর কিছু সহজ উপায় জানিয়েছে ওয়েবসাইট এনএইচএস ডট ইউকে।
সকালের নাস্তা বাদ নয়
অনেকেরই ধারণা সকালের নাস্তা বাদ দিলে ওজন কমে। ধারণাটি একদমই ভুল। ওজন কমাতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই সকালের নাস্তা খেতে হবে। কেননা, এ সময় খাবার বাদ দিয়ে পরের বেলায় বেশি ক্ষুধা লেগে অতিরিক্ত খাওয়া হয়ে যাবে। এতে ওজন তো কমবেই না, উল্টো বাড়বে।
সবজি ও ফল বেশি খান
আমরা সাধারণত থালা ভরে ভাত নেই। তরকারি বা সবজি থাকে খুব অল্প। কিন্তু নিয়মটা হলো, সবজি বা প্রোটিন বেশি খেতে হবে, আর ভাত খেতে হবে কম । দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় ফলও রাখতে হবে। ফল ও সবজিতে কার্বহাইড্রেট কম থাকে। এটি ওজন কমাতে কাজ করে।
কায়িক পরিশ্রম করুন
হাঁটুন, দৌড়ান, নাচুন, ঘরের কাজ করুন- মোদ্দাকথা কায়িক পরিশ্রম করুন। নিয়মিত ব্যায়াম ওজন কমাতে যে খুব উপকারী সে তো আর অজানা নয়।
পরিকল্পনা করুন
যখন যা মনে হলে, হুট করে খেয়ে নিলেন; খাবারের কোনো সময় জ্ঞান নেই- এমন করলে কিন্তু চলবে না। খাবার খাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট সময় এবং কোন বেলায় কোন খাবারটি খাবেন সেটি নির্ধারণ করুন। সকালে হয়তো একটি ছোট রুটি, সবজি বা ডিম খেলেন। মধ্য সকালে খেলেন এক কাপ গ্রিন টি, সঙ্গে রইলো দুটো টোস্ট বিস্কিট। আবার দুপুরে হয়তো খেলেন এক কাপ ভাত, এক কাপ সবজি, দুই টুকরো মাছ বা মাংস ও সালাদ। এভাবে আপনার খাবারের রুটিন তৈরি করে নিন। অল্প অল্প করে আড়াই থেকে সাড়ে তিন ঘণ্টা পর পর খাবার খান।
জাঙ্ক ফুড নয়
জাঙ্ক ফুড, ফাস্ট ফুড খাদ্যতালিকা থেকে একদমই বাদ দিতে হবে। সঙ্গে বাদ দিতে হবে কোল্ডড্রিংস বা মিষ্টি জাতীয় খাবার। এগুলো ওজন বাড়ায়।
আঁশ জাতীয় খাবার খান
আঁশ সমৃদ্ধ খাবার খেলে দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা অনুভূত হয়। এতে অন্য খাবার বেশি খাওয়া হয় না। সবজি, ফল, লাল আটা, বিচি জাতীয় খাবারে আঁশ থাকে। এ ধরনের খাবার ওজন কমাতে কার্যকর।