উজ্জ্বলা লিমিটেড, বাংলাদেশের বিউটি অ্যান্ড গ্রুমিং ইন্ডাস্ট্রিতে নারী উদ্যোক্তা তৈরিতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। নারীকে যোগ্য করে তুলতে অনলাইন ও অফলাইন ক্লাসের মাধ্যমে বিউটি অ্যান্ড গ্রুমিংয়ের সব খুঁটিনাটি শেখানো হয় এখানে। উজ্জ্বলায় প্রশিক্ষণ নিয়েছে এবং সংগ্রাম করে সাফল্য অর্জন করেছেন, এমন কয়েকজন নারীর সাক্ষাৎকার নিয়ে সাতকাহনের ধারাবাহিক বিশেষ আয়োজনের আজ রইল নবম পর্ব। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন শাশ্বতী মাথিন।
নবম পর্ব- ইকরা আহসান চৌধুরী
চুল নিয়ে কাজ করতে ভালোবাসেন ইকরা আহসান চৌধুরী। কাকে কোন রংয়ে মানাবে, কীভাবে চুলের কালার করলে চেহারা উজ্জ্বল লাগবে অথবা রিবন্ডিংয়ে সবচেয়ে আধুনিক কৌশলগুলো কীভাবে প্রয়োগ করা যায় এসব তার কাজ ও ভাবনার বিষয়। ইকরা বর্তমানে কাজ করছেন উজ্জ্বলার ফ্যাকাল্টি হিসেবে। পাশাপাশি বাড়িতেই স্টুডিও খুলেছেন। সেখানে হেয়ার স্টাইলের কাজ করা হয়। মাসে প্রায় ৬০ থেকে ৮০ হাজার টাকা আয় করেন তিনি।
ইকরা জানান, ২০১৮ সালে আমি উজ্জ্বলায় আসি। এখানে সেকেন্ড কমপ্লিট ব্যাচের ছাত্রী ছিলাম। আমার মনে হয়েছে চুল স্টাইলিংয়ের জায়গায় কাজ করার মানুষ কম। হাতে গোনা কয়েকজন এ বিষয়টি নিয়ে কাজ করে। আমি প্রতিনিয়ত চাই নিজেকে দক্ষ করে তুলতে। উজ্জ্বলার বাইরেও বিউটিফিকেশনের ওপর ২০টি কমপ্লিট কোর্স করেছি।
‘ছোটবেলায় আমার মা-বাবার ডিভোর্স হয়ে যায়। আমরা দুই বোন। আমি দেখতে মায়ের মতো অনেকটা। তাই বাবার বাড়িতে গেলে আমাকে সবাই দূরে সরিয়ে রাখতো, পছন্দ করতো না। আমার বোনকে নিয়ে তাদের আহ্লাদ ছিলো। আমাদের সমাজ ডিভোর্স পরিবারের সন্তানদের অভিশপ্ত মনে করে। তবে যখন ধীরে ধীরে আমি উন্নতি করতে শুরু করলাম, একটা শক্ত অবস্থান তৈরি করলাম, তখন সবাই আমাকে পছন্দ করে,’ -বলছিলেন ইকরা।
সবসময় ভেবেছি এমন কোনো কাজ করবো যাতে সম্মান পাই জানিয়ে ইকরা বলেন, ‘উজ্জ্বলা আমাকে আমি হতে সাহায্য করেছে। উজ্জ্বলায় প্রশিক্ষণ নিয়ে এবং কাজ করে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হয়েছি।’
উজ্জ্বলার স্লোগান, ‘চলো এগিয়ে যাই।’ আমিও এমন। কোনো বাধা মানি না। সব বাধা অতিক্রম করে সবসময় নিজেকে এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করি,’ বলেন ইকরা।