সাতকাহন২৪.কম ডেস্ক
একটা সময় পারিবারিকভাবে একটু আর্থিক সমস্যার মধ্যে পড়তে হয় ওয়াজিহা সাবাকে। তখন ভীষণ রকম জেদ তৈরি হয় নিজের ভেতর। নিজেকে আর্থিকভাবে স্বচ্ছল করে তোলার একটি তীব্র স্পৃহা তৈরি হয় মনে। সেই থেকে শুরু। প্রথমে রান্নার ওপর প্রশিক্ষণ নেন। এরপর ব্লক-বাটিক ও পরবর্তী সময়ে বিউটিফেকেশনের ওপর কোর্স করেন।
বর্তমানে নিজের একটি ( অনলাইন-অফলাইন ) বুটিক হাউজ রয়েছে তাঁর। সেখান থেকে মাসে দেড় থেকে দুই লাখ টাকা আয় হয়। এ ছাড়া অ্যাসিস্টেন্ট ট্রেইনার হিসেবে কাজ করছেন স্কিল সেট ট্রেনিং ইন্সটিউটে। তিনি টনি খান ইন্সটিটিউট (চট্টগ্রাম)- এর কো ফাউন্ডারদের একজন। ওয়াজিহা বিউটিফিকেশনের ওপর একটি ট্রেনিং সেন্টার শুরু করতে যাচ্ছেন। সেটিরও কাজ চলছে।
‘জীবনটা সহজ ছিল না। আর্থিক সমস্যার কারণে একটা সময় ভীষণ হতাশ লাগতো। সেখান থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করতাম এবং সেই অনুযায়ী পরিশ্রম করি। এরপর আমার মায়ের সহযোগিতায় বিভিন্ন প্রশিক্ষণ নেই। বর্তমানে তো নিজের বুটিক রয়েছেই, পাশাপাশি অন্যদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছি। স্বাবলম্বী হয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছি,’ বলেন ওয়াজিহা।

২০২৩ সালে উজ্জ্বলা ও জয়িতা ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে হওয়া চট্টগ্রামে একটি কোর্সে অংশ নেন ওয়াজিহা। বলেন, ‘এই কোর্সটি থেকে বিউটিফিকেশনের ওপর আমি অনেক জেনেছি। এই ধরনের কোর্স নারীর দক্ষতা বৃদ্ধিতে অনেক সহায়ক। এখন বিউটিফিকেশনের ওপর আরো শিখছি আমি।’
বঙ্গবন্ধু জাতীয় দক্ষতা প্রতিযোগিতা ২০২৩- এর কুকিং ট্রেডে
জাতীয় পর্যায়ে অংশ নেন ওয়াজিহা। এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য সারাদেশ থেকে নির্বাচিত হন সাত জন। এর মধ্যে ওয়াজিহা অন্যতম। তিনি বলেন, ‘ভবিষ্যতে আমি একজন সফল প্রশিক্ষক হতে চাই এবং নারী ও যুবকদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে কাজ করতে চাই। আমার উদ্দেশ্য বিভিন্ন বিষয়ে দক্ষতা বাড়িয়ে বিভিন্ন উদ্যোগে তাদের সহয়াতা করা’৷
বি : দ্র : বাংলাদেশের বিউটি অ্যান্ড গ্রুমিং ইন্ডাস্ট্রিতে উদ্যোক্তা তৈরিতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে উজ্জ্বলা লিমিটেড। উজ্জ্বলায় প্রশিক্ষণ নিয়েছেন এবং সংগ্রাম করে সাফল্য অর্জন করেছেন, এমন কয়েকজন নারী ও পুরুষের সাক্ষাৎকার নিয়ে সাতকাহনের ধারাবাহিক পর্ব চলছে। এই পর্বটি ছিল ৮৫তম। উজ্জ্বলা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন :
https://www.facebook.com/UjjwalaBD
https://www.instagram.com/UjjwalaBD/
ফোন : ০১৩২৪৭৩৪১৫৭