সাতকাহন২৪.কম ডেস্ক
স্তন ক্যানসার সচেতনতার মাধ্যমে প্রাণঘাতী এই রোগ থেকে মৃত্যু ঠেকানো সম্ভব বলে মনে করেন বাংলাদেশ স্তন ক্যানসার সচেতনতা ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান সমন্বয়কারী অধ্যাপক ডা. হাবিবুল্লাহ তালুকদার রাসকিন।
আজ মঙ্গলবার, ১০ অক্টোবর, আইইডিসিআর (পুরাতন স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সংলগ্ন) নতুন মিলনায়তনে বাংলাদেশ স্তন ক্যানসার সচেতনতা ফোরাম আয়োজিত আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন সাবেক স্বাস্থ্য সচিব এএফএম সরওয়ার কামাল, সাবেক স্বাস্থ্য সচিব সিরাজুল ইসলাম, বারডেমের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. শুভাগত চৌধুরী, জন হপকিনস ইউনিভার্সিটির অধাপক ডা. হালিদা হানুম আক্তার, বিশিষ্ট সঙ্গীতশিল্পী সামিনা চৌধুরী, প্রশিকার চেয়ারম্যান কবি রোকেয়া ইসলাম, কমিউনিটি অনকোলজি সেন্টার ট্রাস্টের চেয়ারপার্সন মুসারাত জাহান সৌরভ, আইইডিইআর এর ভারপ্রাপ্ত পরিচালক অধ্যাপক ডা. জাকির হাবিব এবং ব্রেস্ট ক্যানসার অ্যাওয়ারনেস ফোরামের সমন্বয়কারী (যোগাযোগ) ইকবাল মাহমুদ, সমন্বয়কারী (অর্থ) মাহবুব শওকত, সমন্বয়কারী (মিডিয়া) জান্নাতুল ফেরদৌস মানু।
গ্লোবোকনের তথ্য তুলে ধরে ডা. রাসকিন বলেন, ‘প্রতি বছর বাংলাদেশে প্রায় ১৩ হাজার নারী নতুন করে নিরব ঘাতক স্তন ক্যানসার আক্রান্ত হন। মারা যান প্রায় আট হাজার। আক্রান্তের তুলনায় মৃত্যুহার অত্যন্ত উদ্বেগজনক। সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্যানসার সম্পর্কে সচেতনতার অভাব, নারীদের সংকোচবোধ আর দেরিতে চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার কারণে এত বেশি মৃত্যু হয়ে থাকে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে সার্বিকভাবে ক্যানসার নির্ণয় ও চিকিৎসা ব্যবস্থা অপ্রতুল ও ব্যয়বহুল। স্তন ক্যানসার প্রতিরোধ, প্রাথমিক অবস্থায় নির্ণয় ও ক্যানসার স্ক্রিনিংয়ের কোনো জাতীয় কর্মকৌশল, কর্মপরিকল্পনা ও কর্মসূচি নেই। এ বাস্তবতায়, ২০১৩ সালে স্তন ক্যানসার প্রতিরোধ নিয়ে কাজ শুরু করে স্তন ক্যানসার সচেতনতা ফোরাম। গত দশ বছর দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ফোরামের উদ্যোগে দিবসটি পালন করা হচ্ছে।
স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি ও সুরক্ষা, সূচনায় নির্ণয় ও স্ক্রিনিং এর উপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে সবার সচেতনতা তৈরি করতে এবারেও সড়ক শোভাযাত্রার আয়োজন করেছে সংগঠনটি।
যাদের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ ও সহযোগিতায় স্তন ক্যানসার অ্যাওয়ারনেস ফোরাম এর সচেতনতা মূলক কর্মসূচি বিস্তৃতভাবে প্রচার ও প্রসার হয়েছে, এমন ১০ জন মিডিয়া কর্মীকে সম্মাননা (কৃতজ্ঞতা) স্মারক প্রদান করা হয়।