সাতকাহন২৪.কম ডেস্ক
শীতে তাপমাত্রা কমতে থাকে। আর এতে বাতাসের আর্দ্রতাও কমে। আবার এই সময়টায় ধুলাবালির প্রকোপ, বায়ুদূষণ ইত্যাদি বাড়ে। এসব কারণে অ্যাজমা রোগীরা বছরের অন্যান্য সময়ের তুলনায় একটু বেশিই ভোগেন। অনেক সময় অ্যাজমা অ্যাটাকের মতো সমস্যা হয়ে রোগীর প্রাণ হুমকির মুখেও পড়ে যায়। তাই শীত সম্পূর্ণ জেঁকে বসার আগেই এ ধরনের রোগীদের সতর্ক থাকা জরুরি।
শীতের প্রস্তুতি হিসেবে অ্যাজমা রোগীদের করণীয় বিষয়ে জানিয়েছেন গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজ (সাভার)-এর চিকিৎসক ডা. শাকিল মাহমুদ। তাঁর পরামর্শমতে,
# অ্যাজমা রোগীরা বাইরে গেলে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করবেন। মাস্ক বাইরের ধুলাবালি, জীবাণু, ফুলের রেণুর সংক্রমণ ইত্যাদি প্রতিরোধে সাহায্য করে।
# যাদের এ সময়টায় অ্যাজমা বাড়ে, তারা শীত শুরুর আগেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে প্রিভেনটিভ ইনহেলার ব্যবহার করুন। পাশাপাশি চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধের ডোজ ঠিক করে সেবন করুন।
# যারা ব্যায়াম করতে বা হাঁটতে ঘরের বাইরে বের হোন, তারা সকাল ও সন্ধ্যাবেলা এড়িয়ে যান। এ সময়টায় যেহেতু কুয়াশা ও শিশির পড়ে, তাই ঠান্ডা লেগে যেতে পারে। সম্ভব হলে ঘরে ব্যায়াম করুন।
# উলের পোশাকে যাদের অ্যালার্জির সমস্যা হয়, তারা এ ধরনের পোশাক এড়িয়ে মোটা সুতির কাপড় পরতে পারেন। মাথা, নাক, কান, গলা, পা ভালো করে ঢাকুন। রাতে ঘুমানোর আগে গলায় একটি পাতলা সুতির কাপড় জড়িয়ে ঘুমাতে পারেন। এতে ঠান্ডা কম লাগবে।
# সাধারণত শীতের পোশাকগুলো অনেক দিন ধরে আলমারিতে রাখা হয়। এসব পোশাক আলমারি থেকে বের করেই পরতে যাবেন না। রোদে শুকান এবং ধুয়ে নিন। এরপর পোশাক ব্যবহার করুন। না হলে পোশাকে থাকা মাইট থেকে শ্বাসকষ্ট শুরু হতে পারে।
# ঝুল ঝাড়ু দেওয়া, ঘর মোছা, পরিষ্কার করা ইত্যাদি কাজে সতর্কতা অবলম্বন করুন। ঘর পরিষ্কার করতে গেলে মুখে মাস্ক ব্যবহার করুন। পাশাপাশি গরম পানি ব্যবহার করতে ভুলবেন না।
# সম্ভব হলে শীতের শুরুতে ফ্লু ও নিউমোনিয়ার টিকা নিন।
# অনেকে বাড়িতে নেবুলাইজার ব্যবহার করেন। শীত আসার আগেই যন্ত্র ও প্রয়োজনীয় তরল ঠিকঠাক রয়েছে কিনা দেখুন।
# মূলত অ্যাজমা সম্পূর্ণ ভালো হয় না। একে ওষুধ ও জীবনযাপনের ধরন পরিবর্তনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হয়। তাই নিয়মিত ওষুধ সেবন করুন। ওষুধের ডোজ বাদ দেওয়া থেকে বিরত থাকুন।