সাতকাহন২৪.কম ডেস্ক
শীতে শুষ্ক আবহাওয়া, তাপমাত্রা কমে যাওয়া এবং ধুলাবালির উপদ্রব ইত্যাদির কারণে কিছু স্বাস্থ্যগত সমস্যা হয়। এ সময় ঠান্ডা, কাশি, ফ্লু, জ্বর ইত্যাদি সমস্যা সহজেই দেহে বাসা বাঁধে। এগুলো প্রতিরোধে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো জরুরি। আর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সঠিক খাদ্যাভ্যাসের বিকল্প নেই।
শীতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ৭ জরুরি খাবারের নাম জানিয়েছে পপুলার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রধান পুষ্টিবিদ নিশাত শারমিন নিশি।
১. বাদাম
বাদাম রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। শীতে বাদামের মধ্যে সবচেয়ে ভালো পছন্দ হতে পারে ওয়ালনাট। ওয়ালনাটে রয়েছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড। এই উপাদানটি ফুসফুস ভালো রাখতে সাহায্য করে।
২. জলপাই
শীতে জলপাই পওয়া যায়। এটি খাদ্যতালিকায় রাখা যেতে পারে। জলপাইয়ে রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন ই। এগুলো সব অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এ ছাড়া এতে কপার রয়েছে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে চাইলে প্রতিদিন খাদ্যতালিকায় এটি রাখুন।
৩. রসুন
শীতে খাদ্যতালিকায় রসুন রাখতে পারেন। রসুনে থাকে সেলেনিয়াম। এটি ক্ষতিকর জীবাণুর সঙ্গে লড়াই করে দেহকে সুস্থ রাখতে উপকারী। রসুন রান্না করে খেতে পারেন বা খালিও খেতে পারেন। মুড়ির সঙ্গে ছোট কুচি করে রসুন খাওয়া যেতে পারে।
৪. গ্রিন টি/ আদা চা
গ্রিন টি-তে কেটিচিন রয়েছে। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এ ছাড়া আদার চা পান করতে পারেন। আদায় থাকে প্রদাহরোধী উপাদান। এটি ঠান্ডা-কাশি, শ্বাসকষ্ট প্রতিরোধে কার্যকর।
৫. ফল বা ফলের রস
শীতে অবশ্যই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট জাতীয় ফল খেতে হবে। এ ক্ষেত্রে কমলা হতে পারে অন্যতম সমাধান। কমলায় থাকে ভিটামিন সি। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াবে। এ ছাড়া খোসাসহ আপেল খেতে পারেন। এতে ফুসুফুস ভালো থাকবে।
৬. টমেটো
শীতে খাদ্যতালিকায় টমেটো রাখুন। এটি লাইকোপেন সমৃদ্ধ খাবার। টমেটো কাঁচা না খেয়ে একটু রান্না করে খেলে লাইকোপেন যথাযথ কাজ করবে।
৭. ফুলকপি
ফুলকপিতে রয়েছে পটাশিয়াম, ভিটামিন বি। যারা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে চায়, তাদের জন্য ফুলকপি খুব চমৎকার একটি সবজি। এ ছাড়া এতে থাকা আঁশ শীতে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় প্রতিরোধেও কার্যকর।