ডা. সজল আশফাক
শীত মানেই বাড়তি কিছু রোগব্যাধির উপদ্রব। শীতে যেহেতু আবহাওয়া শুষ্ক হয়ে যায় এবং বাতাসে জীবাণু ও ধুলাবালুর পরিমাণ বাড়ে, তাই এই সময়টায় শিশুদের জন্য কিছু বাড়তি সতর্কতা নেওয়া জরুরি। শীতে শিশুকে সুস্থ রাখতে জরুরি পরামর্শ –
ত্বকের যত্ন
শীতে শরীরের যে অঙ্গটি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, সেটি ত্বক। শীতে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ কমে যায়। এ কারণে ত্বকের জলীয় অংশ চলে যায় বাতাসে। তাই ত্বকে শুষ্কতার সমস্যা হয়।
ত্বক ভালো রাখতে এ সময় ময়েশ্চারাইজার বা আর্দ্রতাকর উপাদান ব্যবহার করা জরুরি। এই ধরনের ময়েশ্চারাইজারের ভেতর রয়েছে সাধারণ তেল থেকে শুরু করে বিভিন্ন কসমেটিক্স। কসমেটিক্সের দোকানে বিভিন্ন নামে ময়েশ্চারাইজার পাওয়া যায়। তবে গ্লিসারিনই হচ্ছে কম দামে ভালো ময়েশ্চারাইজার। ময়েশ্চারাইজার ব্যবহারের ক্ষেত্রে গোসলের পর শরীর মুছে ত্বকে ভেজাভাব থাকতেই মেখে দিতে হবে।
শুষ্কতার কারণে অনেক সময় ত্বক ফেটে যায়। বিশেষ করে পায়ের গোড়ালি ও ঠোঁট। এমন হলে ইমোলিয়েন্ট ব্যবহার করতে হবে। কসমেটিক্সের দোকানে বিভিন্ন ইমিলিয়েন্ট পাওয়া যায়। শিশুদের ত্বকের জন্য এটি উপকারী। তবে সাধারণের জন্য সবচেয়ে ভালো ইমিলিয়েন্ট হলো ভ্যাসলিন। ভ্যাসলিন যেকোনো অবস্থাতেই মাখা যায়। তবে ভেজা অবস্থায় মাখলে উপকার বেশি।
সর্দি-কাশি থেকে রেহাই পেতে
শীতে সর্দি কাশির সমস্যা বেশি দেখা দেয়। এটি সাধারণত ঠান্ডা ও ধুলবালির কারণে হয়। এ জন্য শিশুকে ঠান্ডা ও ধুলাবালি থেকে দূরে রাখতে হবে। প্রয়োজনে অ্যান্টি হিস্টামিন জাতীয় ওষুধ চিকিৎসকের পরামর্শ মতো খাওয়ানো যেতে পারে।
শীতে হাঁপানির সমস্যা বাড়তে পারে। এ জন্য সালবিউটামল ইনহেলার বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবহার করতে হবে। প্রয়োজনে চিকিৎসকের সঙ্গে আলাপ করে সমস্যার সমাধান খুঁজতে হবে।
শীতের পোশাকের যত্ন
শীতে ব্যবহৃত গরম কাপড় বেশিরভাগ সময় আলমারিতে তুলে রাখা হয়। নতুন করে শীতের পোশাক শিশুকে পড়ানোর আগে অবশ্যই রোদে দিতে হবে। কারণ, এসব কাপড়ের ভেতর বিভিন্ন জীবাণু থাকতে পারে। এতে সহজেই শিশু সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হয়ে পড়বে।
লেখক : ইনএনটি বিশেষজ্ঞ