ডা. সঞ্জয় শীল
একজন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীর ত্বক এমনিতেই স্পর্শকাতর থাকে। আর শীতে এ ধরনের রোগীর ত্বকে কিছু বাড়তি সমস্যা দেখা দেয়। যেমন : শুষ্কতা, চুলকানি, ঠোঁট শুষ্ক হয়ে যাওয়া, ফাঙ্গাস সংক্রমণ, ত্বক লাল হয়ে যাওয়া, পায়ের গোড়ালি ফাঁটা ও তাতে সংক্রমণ, মাথার ত্বকের চামড়া ওঠা (স্ক্যাল্প সোরিয়াসিস) ইত্যাদি। কারো সোরিয়াসিসের সমস্যা থাকলে এ সময় প্রকট হতে পারে।
সাধারণত শীতকালে শুষ্ক ও ঠান্ডা বাতাসের কারণে ত্বক আর্দ্রতা হারায়। এতে বিভিন্ন রোগ হয়। এ ছাড়া অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, ডায়াবেটিস জনিত স্নায়ুতন্ত্রের ক্ষতির (ডায়াবেটিক পেরিফেরাল নিউরোপ্যাথি) জন্যও ত্বকের সমস্যা হতে পারে। তাই শীতে ডায়াবেটিস রোগীর ত্বকে বাড়তি যত্ন জরুরি। এ ক্ষেত্রে রইল কিছু পরামর্শ-
# ত্বক সবসময় আর্দ্র রাখতে হবে। বাজারে প্রচলিত অলিভ অয়েল, নারকেল তেল, অ্যালোভেরা সমৃদ্ধ বডি লোশন, প্যারাফিন সমৃদ্ধ লোশন ব্যবহার করতে পারেন।
# অনেকেই ত্বকের শুষ্কতা কমাতে গ্লিসারিন ব্যবহার করেন। এ ক্ষেত্রে গ্লিসারিনের সঙ্গে সমপরিমাণ পানি মিশিয়ে এরপর ব্যবহার করতে হবে।
# ডায়াবেটিস অবশ্যই নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। না হলে ত্বকের শুষ্কতা বাড়বে।
# এ সময় কুসুম গরম পানি দিয়ে গোসল করতে পারেন। এতে ত্বকের রক্ত চলাচল বাড়ে। তবে কোনো অবস্থাতেই অতিরিক্ত গরম পানি ব্যবহার করা যাবে না। এতে ত্বক শুষ্ক হয়ে পড়তে পারে।
# ত্বক ভালো রাখতে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করতে হবে।
# অতিরিক্ত ক্ষারযুক্ত সাবান ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন। ফাংগাল ইনফেকশন দেখা দিলে কিংবা সোরিয়াসিসের সমস্যা দেখা দিলে অবশ্যই ডার্মাটোলজিস্টের পরামর্শ নিতে হবে।
# পা ফাঁটলে সে জায়গা আর্দ্র রাখতে হবে। ফাঁটার কারণে পায়ে সংক্রমণ দেখা দিলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
লেখক : ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালের রেসিডেন্ট ইন কার্ডিওলজি ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ।