ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ
শীতে প্রধানত বাড়ে শ্বাসতন্ত্রের রোগ। শীতের বাতাসের তাপমাত্রা কমার সঙ্গে আর্দ্রতাও কমে যায়। এতে আমাদের শ্বাসনালীর স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হয়; ভাইরাসের আক্রমণ সহজ হয়। শুষ্ক আবহাওয়া বাতাসে ভাইরাস ছড়ানোতে সাহায্য করে। এ ছাড়া ধুলাবালি বাড়ে। ঠান্ডা, শুষ্ক বাতাস হাঁপানি রোগীর শ্বাসনালিকে সরু করে দেয়। এতে শ্বাসকষ্ট হয়। শীতের প্রকোপ শুধু ফুসুফুসে নয়, সাইনাস, কান ও টনসিলের প্রদাহ বাড়ায়।
শীতে ঠান্ডা, কাশি ও শ্বাসকষ্ট প্রতিরোধে
# ঠান্ডা খাবার ও পানীয় এড়িয়ে চলুন।
# কুসুম কুসুম গরম পানি পান করা ভালো। হালকা গরম পানি দিয়ে করতে হবে।
# প্রয়োজন মতো গরম কাপড় পরা। তীব্র শীতের সময় কান-ঢাকা টুপি পরা এবং গলায় মাফলার ব্যবহার করা।
# ধুলাবালি এড়িয়ে চলা।
# ধূমপান পরিহার করা।
# ঘরের দরজা-জানালা সবসময় বন্ধ না রেখে মুক্ত ও নির্মল বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা রাখা।
# শ্বাসকষ্টের রোগীরা শীতের শুরুতেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে প্রতিরোধমূলক ইনহেলার বা অন্যান্য ওষুধ ব্যবহার করতে পারেন।
# তাজা ও পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করতে হবে। পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করতে হবে। এগুলো দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করবে।
# হাত ধোয়ার অভ্যাস করি। বিশেষ করে চোখ বা নাক মোছার পর হাত ধুতে হবে।
লেখক : মেডিসিন বিশেষজ্ঞ