ডা. আবু সাঈদ শিমুল
শিশুকে গোসল করানোর সময় অনেকেই প্রায় কিছু ভুল করে। এসব ভুল থেকে শিশুর হতে পারে মারাত্মক ক্ষতি। এসব ক্ষতি এড়াতে জেনে নিন করণীয়-
১. অনেকেই যেমন জন্মের পরই শিশুকে গোসল করিয়ে দেয়। এতে ঠান্ডা লেগে নিউমোনিয়া পর্যন্ত হয়ে যেতে পারে। জন্মের ৭২ ঘণ্টা পরই গোসল করানো ভালো।
২. আবার ঠান্ডা লাগার ভয়ে গরমেও অনেকে শিশুকে গোসল করায় না। এটাও সঠিক নয়। তাদের নিয়মিত গোসল করালে ক্ষতি নেই। তবে খুব ছোট শিশু, অপরিণত বা কম
ওজনের শিশুর ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
৩. অনেকে আবার অনেকক্ষণ সময় নিয়ে শিশুর মাথায় পানি ঢালে। এতেও ঠান্ডা লাগতে পারে। এ ছাড়া কানে পানি ঢুকে সংক্রমণ হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
৪. গরমে অনেকে গোসলের পর শিশুর গায়ে তেল মাখে। এতে কিন্তু লাভ হয় না। গোসলের আগে অবশ্য তেল মাখলে ক্ষতি নেই।
৫. অনেকে আবার বড়দের সাবান শিশুর গায়ে মাখেন। এটিও করা যাবে না। শিশুদের জন্য কম ক্ষারযুক্ত সাবান ব্যবহার করতে হবে।
৬. শিশুর গায়ে সাবান লাগানোর পর খেয়াল রাখবেন সেটি যেন পানি দিয়ে ভালোভাবে ধোয়া হয়। না হলে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
৭. শিশুকে যেই গরম পানি দিয়ে গোসল করানো হয়, সেটি দিয়েও হতে পারে দুর্ঘটনা। এই পানি যেন খুব গরম না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। গোসলের পানি চুলায় গরম করে তা বহন করে নিয়ে যাওয়ার সময়ও দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এই সময় খুব সাবধান থাকুন। শিশুকে এই সময় দূরে রাখুন।
৮. গোসলের পানিতে অ্যান্টিসেপ্টিক দিলে তাতে উপকারী জীবাণুগুলোও মারা যায়। শিশুকে গোসল করাতে গিয়ে এই ভুলটি করে থাকেন অনেকেই। এমন ভুলগুলো
পরিহার করতে পারলে গোসল করাতে গিয়ে শিশুর কোনো ক্ষতি হবে না। শিশুও থাকবে নিরাপদ।
লেখক
শিশু বিশেষজ্ঞ
মুগদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল