সাতকাহন২৪.কম ডেস্ক
অফিস থেকে বাড়ি ফিরেছেন। দরজা খুলতেই দেখলেন, সম্পূর্ণ ঘর এলোমেলো ও নোংরা হয়ে রয়েছে। আর এই কর্মটি ঘটিয়েছে আপনার ছোট্ট সন্তানটি। সারাদিন কর্মব্যস্ত থাকার পর ক্লান্ত হয়ে ফিরে এই রকম ঘর দেখতে নিশ্চয়ই কারো ভালো লাগার কথা নয়। আপনি গৃহিনীই হোন বা বাহিরেই চাকরি করেন ছেলে বা মেয়ে নির্বিশেষে ছোটবেলা থেকেই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা শেখানো জরুরি।
ঘর গোছানো, পরিষ্কার- পরিচ্ছন্নতা, রান্না ইত্যাদি মূল কাজগুলো যেকোনো মানুষেরই শিখে রাখা আবশ্যক। আর ছোট বয়স থেকেই শিখলে পরবর্তী সময়ে ভীষণভাবে কাজে লাগবে। তবে পরিষ্কার- পরিচ্ছন্নতা শিখতে গিয়ে অনেক শিশুই আরো বেশি নোংরা করে ফেলে। আর এতে মা-বাবাও শেখাতে আগ্রহ হারায়। তবে কয়েকটি সহজ উপায় মেনে চললে কিন্তু শিশুকে এ বিষয়ে আগ্রহী করে তোলা যায়।
ঘর পরিষ্কার রাখা কোনো শাস্তি নয়
অনেকেই শাস্তি হিসেবে শিশুকে দিয়ে পরিষ্কার- পরিচ্ছন্নতার কাজটি করায়। এটি একদমই করা যাবে না। তাকে বিষয়টিতে আগ্রহী করে তুলতে হবে। বোঝাতে হবে- ‘পরিষ্কার থাকলে ঘর দেখতে সুন্দর লাগবে’, ‘তোমার কাছেও প্রশান্তিময় মনে হবে’, ‘গুছানো থাকলে তোমারও ভালো লাগবে’ ইত্যাদি।
করণীয় কাজ বা টাস্ক হিসেবে দিন
খেলতে গিয়ে, পড়তে গিয়ে শিশু পড়ার টেবিল, ঘর খুব এলোমেলো করে ফেললে তাকে গুছাতে দিন। প্রথম কিছুদিন আপনি শিখিয়ে দিতে পারেন। তবে পরে তাকে নিজ দায়িত্বে কাজটি করতে হবে বলে রাখুন। এবং প্রতিদিন চেক করুন কাজটি সে করছে কি না।
পরিষ্কার- পরিচ্ছন্নতার রুটিন তৈরি করুন
নিয়মানুবর্তী হয়ে কাজ করার জন্য মানুষের সবসময়ই রুটিনের প্রয়োজন। এই ক্ষেত্রেও শিশুর জন্য একটি রুটিন তৈরি করে দিন। বার ও সময় অনুযায়ী সে কী কী পরিষ্কার করবে তার তালিকা তৈরি করুন। হয়তো একদিন কাপড় ধুলো, আরেকদিন বাথরুম পরিষ্কার করলো বা জানালা পরিষ্কার করলো, সিলিংয়ের ঝুল ঝাড়ু দিলো। এভাবে কাজ ভাগ করে দিলে, তার জন্যও সহজ হবে এবং সেও আগ্রহী হয়ে উঠবে।
সূত্র : মমজংশন