Tuesday, October 8, 2024
spot_img
Homeডায়েট—ফিটনেসরোজায় পানিশূন্যতা প্রতিরোধে

রোজায় পানিশূন্যতা প্রতিরোধে

ডা. হুমায়ুন কবীর হিমু

রোজার সময় আমাদের খাবারের সময়সূচিতে পরিবর্তন আসে। টানা ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা না খেয়ে থাকতে হয়। এ পরিবর্তনকে মেনে নিতে গিয়ে দেহে কিছু সমস্যা দেখা দেয়। এর মধ্যে পানিশূন্যতা অন্যতম। তবে কিছু বিষয়ে সতর্ক থাকলে পানিশূন্যতা প্রতিরোধ করে সুস্থভাবে রোজা পালন সম্ভব।

আসলে টানা পানি পান না করায় প্রায় সব রোজাদারই পানিশূন্যতায় ভোগে। তবে বয়স্ক ও যারা ডাইইউরেটিকস, যেমন- ফ্রুসেমাইড, থায়াজাইড, স্পাইরোনোল্যাকটোন জাতীয় ওষুধ খায় তাদের এই সমস্যা বেশি হয়।

পানিশূন্যতা থেকে রক্ষা পেতে ইফতারের পর থেকে ঘুমানোর আগ পর্যন্ত স্বাভাবিক তাপমাত্রার প্রচুর পানি পান করুন। ফ্রিজের খুব ঠান্ডা পানি পান না করাই ভালো। ইফতারে রাখুন বিভিন্ন ধরনের শরবত। সেই সঙ্গে শসা, ক্ষিরা, পাকা কলা ও অন্যান্য ফলমূল খেতে হবে এই সময়।

তবে পানিশূশ্যতার কারণে প্রচণ্ড মাথা ঘুরলে, দাঁড়িয়ে থাকতে না পারলে বা পারিপার্শ্বিক অবস্থা ভুলে যাওয়া শুরু করলে দ্রুত শরবত পান করুন। সেই সঙ্গে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে থাকুন। আবার কেউ রোজা রেখে অচেতন হয়ে পড়লে তার মাথা নিচু করে পা উপরে তুলে ধরুন। এরপর জ্ঞান ফিরলে প্রচুর পানি পান করান। রোজার সময় পানিশূন্যতা খুব স্বাভাবিক সমস্যা। এই সমস্যা থেকে রেহাই পেতে সতর্কতার বিকল্প নেই।

লেখক
রেজিস্ট্রার, ইন্টারভেনশনাল নিউরোলজি বিভাগ
ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব নিউরোসাইন্স

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments