সাতকাহন২৪.কম ডেস্ক
রমজান মাস শুরু হয়ে গেছে। রোজার সময় যেহেতু সারাদিন না খেয়ে থাকা হয় এবং খাবার খাওয়ার অভ্যাসে পরিবর্তন আসে, তাই বিষয়টির সঙ্গে শরীরের খাপ খাওয়াতে কিছুটা সময় লাগে। তবে কিছু বিষয় মেনে চললে কোনো জটিলতা ছাড়াই সুস্থ ও সুন্দরভাবে রোজা পালন সম্ভব। সুস্থভাবে রোজা পালনে কিছু পরামর্শ জানিয়েছে স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট হেলথ এক্সচেঞ্জ।
১. সেহরি বাদ নয়
সারাদিনের মধ্যে সকালের নাস্তা খাওয়া যেমন জরুরি, তেমনি রোজার সময় সেহরি করাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অনেকে আলসেমির কারণে সেহরির সময় না খেয়েই রোজা রাখেন। এটি একদম ঠিক নয়। দীর্ঘক্ষণ না খেয়ে থাকার কারণে পানিশূন্যতা, মাথাব্যথা, অবসন্নভাবসহ বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে। রোজার সময় সারাদিন যেহেতু খাওয়া হয় না, তাই শরীরের শক্তি ধরে রাখতে সেহরি বাদ দিলে চলবে না।
২. ইফতারে বেশি খাবার নয়
সারাদিন রোজা রাখার পর অনেকেই ইফতারের সময় অতিরিক্ত খাবার খেয়ে ফেলেন। এটি শরীরের জন্য ক্ষতিকর। ইফতার হতে হবে ভারসাম্যপূর্ণ। এমন খাবার নির্বাচন করতে হবে যা পুষ্টিগুণে ভরপুর। অতিরিক্ত খাবার খাওয়া ও বেশি চর্বি জাতীয় খাবার খাওয়া হজমের সমস্যা করতে পারে। এতে ওজনও বেড়ে যাবে।
৩. পর্যাপ্ত পানি পান
একজন প্রাপ্ত বয়স্ক সুস্থ মানুষের দৈনিক ১০ থেকে ১২ গ্লাস পানি পান করা জরুরি। ইফতার থেকে সেহরি পর্যন্ত পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করুন। পাশাপাশি পানীয় জাতীয় খাবার, যেমন, দুধ, শরবত, রসালো ফল ইত্যাদি খাদ্যতালিকায় রাখুন। এড়িয়ে যান কোমল পানীয়, দুধ-চা, কফি ইত্যাদি। এগুলো পানিশূন্যতা বাড়িয়ে দিতে পারে।
৪. বেশি ভাজাপোড়া খাবার নয়
পেঁয়াজু, বেগুণী, চপ, মাংসের পরোটা ইত্যাদি অবশ্যই মুখরোচক খাবার। সারাদিন রোজা রাখার পর অনেকেই হয়তো এসব খুব স্বাদ করে খান। তবে এ ধরনের খাবার হজমে যেমন সমস্যা করে, তেমনি ওজনও বাড়িয়ে দেয়।
তাই এসব খাবার যতটা সম্ভব এড়িয়ে যান। পাশাপাশি অতিরিক্ত লবণাক্ত ও চিনিযুক্ত খাবারও এড়ান। এর বদলে খাদ্যতালিকায় রাখুন গোটাশস্য, ফল, সবজি, সালাদ, দুধ, দই ইত্যাদি।