ডা. সানজিদা হোসেন পাপিয়া
সুস্থভাবে রোজা পালনের জন্য এই সময় দাঁত ও মুখের আলাদা যত্নের প্রয়োজন রয়েছে। না হলে, দুর্গন্ধ, অস্বস্তি ও দাঁতের শিরশির ভাব বেড়ে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যা হতে পারে। রোজার সময় দাঁত ও মুখের যত্নে রইল কিছু জরুরি পরামর্শ।
১. মুখ ও দাঁতের যত্নটা রোজার আগে বা শুরুতে করলেই ভালো। রোজার সময় যে সমস্যাটিতে মানুষ সবচেয়ে বেশি ভোগে, সেটা হলো মুখের তীব্র দুর্গন্ধ। এই দুর্গন্ধের কারণে অনেক সময় অনেকের ইবাদত-বন্দেগি বা রোজার যে পরিবত্রতা সেটি রক্ষা করা কষ্টকর হয়ে যায়। সেই ক্ষেত্রে অবশ্যই মুখের ও দাঁতের সমস্যার সমাধান করে নিতে হবে। পাশাপাশি রোজা রাখা অবস্থায় মুখের ভেতরের পরিষ্কার- পরিচ্ছন্নতা মেনে চলতে হবে।
২. দাঁত দুইবেলা ব্রাশ করার প্রতিদিনকার যে নিয়মটি রয়েছে, রোজার সময় এর একটু ব্যতিক্রম ঘটে। রোজার সময় দাঁতের যত্ন কিন্তু অবশ্যই নিতে হবে, তবে একটু অন্যভাবে। সাধারণত দাঁত ব্রাশ করা হয়, রাতের বেলা, খাবার পরে এবং সকালে নাস্তার পরে। তবে রমজানে যেহেতু দাঁত ব্রাশের বিষয়টি সকালে সম্ভব নয়, তাই সময়টি বদলে নিতে হবে। এটি করতে হবে সন্ধ্যার ইফতারের পর এবং ভোরে সেহরির পরে। এই দুটো সময় সুন্দরমতো ব্রাশ করলে দৈনন্দিন নিয়মটা ঠিক থাকে। পাশাপাশি ইফতার থেকে সেহরির সময়টা কুলি করতে পারেন। এ ছাড়া ফ্লস ও মাউথ ওয়াশ ব্যবহার করা যেতে পারে।
৩. দাঁত ও মুখ সবসময় সুস্থ রাখতে অন্তত ছয় মাস পর পর চিকিৎসকের কাছে গিয়ে চেকআপ করিয়ে নেওয়া ভালো। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী স্কেলিং, পলিশিং করলে দাঁত ও মুখের স্বাস্থ্য সুস্থ থাকে। অনেকে মনে করেন, মুখের ভেতরের পাথর দূর করার যে পদ্ধতি রয়েছে (স্কেলিং), সেটি হয়তো রোজা রাখা অবস্থায় করা যাবে না। তবে রোজা রাখা অবস্থায় মুখ ও দাঁতের যেকোনো চিকিৎসা করা সম্ভব। এ ক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে মুখের ভেতরের কোনো ওষুধ, পানি বা রক্ত যেন গিলে না ফেলেন বা পেটের ভেতর চলে না যায়। তবে এর পরও যারা দ্বিধায় ভুগেন তারা স্কেলিংটা রোজার আগেই করে নিতে পারেন।
লেখক :
ডেনটিস্ট;
কনসালটেন্ট , ভি আই পি ডেন্টাল জোন;
মগবাজার, ঢাকা;
ফোন : 019 3313 3486