ডা. মো. আসাফুজ্জোহা রাজ
রোজায় খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন হয়। এ সময় রুচির জন্য চিনির শরবত, জিলাপি, মিষ্টি ইত্যাদি বেশি খাওয়া হয়। এসব খাবার দাঁত ও মুখে রোগ বাড়ায়। আবার এই সময়টায় ভাজাপোড়া খাবারও বেশি খাওয়া হয়। ভাজাপোড়া খাবার থেকে এসিডিটি হতে পারে। পেটের এসিড মুখে এসে দাঁত ক্ষয় করে।
যাদের ক্রনিক অসুখ, যেমন- ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ- তাদের ওষুধের মাত্রা ও সময় পরিবর্তনের কারণে অসুখের মাত্রা বেড়ে মুখের স্বাস্থ্যকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারে।
করণীয়
# খাবারের তালিকা স্বাস্থ্যবান্ধব হতে হবে।
# সেহরিতে পরিমিত ভাত, সঙ্গে ছোট মাছ, সামুদ্রিক মাছ বা মাংস, ডাল, সবজি, সালাদ, এক কাপ দুধ বা টক দই, মিষ্টি ফল খেতে পারেন।
# প্রচলিত মিনিকেট চাল না খেয়ে সেদ্ধ মোটা চাল বা লাল চালের ভাত খান।
# ইফতারে মজাদার ভাজাপোড়া খাবার মুক্ত থাকার চেষ্টা করুন। এমনকি ছোলাভাজার পরিবর্তে কাঁচা ছোলা সিদ্ধ করে আদা কুঁচি করে খাওয়া যেতে পারে।
# শসা, ক্ষীরা, পেয়ারা ইত্যাদি খাদ্যতালিকায় রাখুন। মুড়ি বা চিড়াও খাওয়া যায়। এসব খাবারে এসিডিটি প্রতিরোধ হবে বা কম এসিডিটি হবে।
# সর্বপোরি মুখ ও দাঁতের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে হবে।
# ইফতার থেকে সেহরি পর্যন্ত পর্যাপ্ত পানি পান করুন।
লেখক : প্রতিষ্ঠাতা, রাজ ডেন্টাল সেন্টার
কলাবাগান, ঢাকা।
মহাসচিব, বিএফডিএস।