সাতকাহন২৪.কম ডেস্ক
মুসলমানদের জন্য রমজান অত্যন্ত পবিত্র একটি মাস। এ মাসে ইবাদত-বন্দেগী ও রোজা রাখার মধ্য দিয়ে আল্লাহর সান্নিধ্য লাভ করতে চায় ধর্মপ্রেমীরা।
রোজার সময় সেহরি থেকে ইফতার পর্যন্ত প্রায় ১২ ঘণ্টা না খেয়ে থাকতে হয়। চিকিৎসকরা বলেন, খুব ভারী খাবার খেয়ে রোজা ভাঙা ঠিক নয়। অর্থাৎ দীর্ঘক্ষণ বিরতির পর ভারী খাবার খেলে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোকসহ বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি বাড়ে। পাশাপাশি রোজার সময় বেশি ভাজাপোড়া, তৈলাক্ত খাবার খাওয়া ওজনও বাড়িয়ে দেয়। সেহরি ও ইফতারে কিছু বিষয়ে সতর্ক হলে খুব ভালোভাবে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
মিষ্টি জাতীয় খাবার
সারাদিন রোজা রাখার পর চিনি বা মিষ্টি জাতীয় খাবার খেলে দেহে শক্তি বাড়ে। তবে চিনির মধ্যে রয়েছে উচ্চ পরিমাণ ক্যালরি। এতে ওজন বেড়ে যেতে পারে। তাই ইফতারের সময় অবশ্যই চিনি বা মিষ্টি জাতীয় খাবার খান, তবে পরিমাণমতো।
ভাজাপোড়া খাবার নয়
রোজার সময় পেঁয়াজু, বেগুণী, আলুর চপ ইত্যাদি ভাজাপোড়া খাবার না হলে অনেকের যেন চলেই না। এসব খাবার অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া অস্বাস্থকর তো বটেই, ওজনও বাড়িয়ে দেয়। তাই এ ধরনের খাবারের পরিবর্তে স্বাস্থ্যকর, ভারসাম্যপূর্ণ খাবার খাদ্যতালিকায় রাখুন।
ধীরে খান
সারাদিন রোজা রাখার পর ইফতারের সময় হুলুস্থূল করে খাবার খাবেন না। বিশেষজ্ঞরা বলেন, ধীরে ধীরে, উপভোগ করে খাবার খান। দ্রুত খেলে মস্তিস্ক বুঝতে পারে না যে খাওয়া হচ্ছে। এতে প্রচুর খেয়ে ফেলা হয়। ধীরে খেলে মস্তিষ্ক পেট ভরার একটি তৃপ্তি অনুভব করে এবং খাওয়াও কম হয়।
ব্যায়াম করুন
রোজা রেখে ভারী ব্যায়াম না করাই ভালো। তবে সহজ কিছু ব্যায়াম এ সময় মেদ ঝড়াতে সাহায্য করে। এ ক্ষেত্রে ইফতারের পর একটু হেঁটেও আসতে পারেন।