সাতকাহন২৪.কম ডেস্ক
আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপন উপলক্ষে সারা দেশ থেকে বাছাইকৃত ১০০ জন সফল তরুণ-তরুণীকে কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ সম্মাননা ও সনদ প্রদান করেছে উজ্জ্বলা। রবিবার, ২০ মার্চ, সন্ধ্যা ৬টায়, ঢাকার শাহবাগে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ‘রূপাঙ্গনে উজ্জ্বলার স্বীকৃতি’ শিরোনামে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে তরুণ-তরুণীদের মধ্যে নারীর ক্ষেত্রে ‘শ্রেষ্ঠ উজ্জ্বলা’, ‘সেরা উজ্জ্বলা’ এবং পুরুষের ক্ষেত্রে ‘অদম্য উজ্জ্বলা’- এই তিন ক্যাটাগরিতে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। পুরষ্কারপ্রাপ্তরা, দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত উজ্জ্বলার প্রাক্তন শিক্ষার্থী। তারা প্রশিক্ষণ নিয়ে, নিজ পেশায় দক্ষতা অর্জন করে সমাজের অর্থনৈতিক বুনিয়াদকে মজবুত করতে কাজ করে যাচ্ছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, এমপি, মাননীয় মন্ত্রী, শিল্প মন্ত্রণালয়। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন জনাব মেহের আফরোজ চুমকি, এমপি, সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও সভাপতি, সংসদীয় স্থায়ী কমিটি, মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়। সম্মানিত অতিথির আসন অলংকৃত করেন আফসানা মিমি, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব।
উজ্জ্বলা, বাংলাদেশের বিউটি অ্যান্ড গ্রুমিং ইন্ডাস্ট্রিতে নারী উদ্যোক্তা তৈরিতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। উজ্জ্বলা প্রান্তিক নারীকে স্বাবলম্বী করে গড়ে তুলতে কাজ করে, যা দেশের অর্থনৈতিক বুনিয়াদকে শক্তিশালী করতে সহায়ক। নতুন প্রজন্মের নারীরা যেন বিশ্বমানের বিউটি অ্যান্ড গ্রুমিং-এ নিজেরাই উদ্যোক্তা হয়ে উঠতে পারেন, সেই চিন্তা থেকে ২০১৭ সালে যাত্রা শুরু করে উজ্জ্বলা। নারীকে যোগ্য করে গড়ে তুলতে অনলাইন ও অফলাইন ক্লাসের মাধ্যমে বিউটি অ্যান্ড গ্রুমিংয়ের সব বিস্তারিত শেখায় প্রতিষ্ঠানটি। দেশের সেরা বিউটি আর্টিস্টরা এসব প্রশিক্ষণের ফ্যাকাল্টি মেম্বার হিসেবে থাকছেন। উজ্জ্বলার বিভিন্ন কোর্স করার মাধ্যমে নারীরা নিজেদের দক্ষতা বাড়াতে পারছেন ও দেশীয় অর্থনীতিতে অবদান রাখছেন। গত পাঁচ বছরে প্রায় চার হাজারের বেশি শিক্ষার্থীর ট্রেনিং শেষ করেছে উজ্জ্বলা। তরুণ শক্তিকে অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ করাই প্রতিষ্ঠানটির লক্ষ্য।
বর্তমানে বিউটি প্রশিক্ষণের পাশাপাশি বিউটি/ পারসোনাল কেয়ার পন্য বাজারে এনে নতুন পথচলা শুরু করেছে উজ্জ্বলা। এসব পন্যের মধ্যে রয়েছে শ্যাম্পু, বডি ওয়েল, হেয়ার ওয়েল। পন্যগুলো তৈরি করা হয়েছে বাংলাদেশের আবহাওয়ার উপযুক্ত করে। বিশুদ্ধ উপাদান ব্যবহার করে দেশীয় ফর্মুলায় তৈরি এসব পন্য বাংলাদেশের মানুষের ত্বক ও চুলের যত্নে উপযোগী। বিউটি কেয়ার পন্য দেশের মাটিতে উৎপাদন করে অর্থনীতির চাকাকে বেগবান করতে উজ্জ্বলা বদ্ধ পরিকর।