সাতকাহন২৪.কম ডেস্ক
বিউটি সেক্টরে উদ্যোক্তা তৈরি করে নারীকে স্বাবলম্বী ও আত্মনির্ভশীল করতে বাংলাদেশ মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত প্রতিষ্ঠান ‘জয়িতা ফাউন্ডেশন’ ও বিউটি অ্যান্ড গ্রুমিং সেক্টরের পথ প্রদর্শক উজ্জ্বলার যৌথ উদ্যোগে রাজশাহীতে ১০ দিনব্যাপী এক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ১৮ জুন, রবিবার, কর্মশালার সমাপনী দিনে রাজশাহীর ‘ফ্রেন্ডস পিক কনভেনশন সেন্টার’-এ ‘বিউটিফিকেশন ও বিউটি পার্লার পরিচালনা বিষয়ক প্রশিক্ষণ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানটিতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ২০ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে সার্টিফিকেট দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জয়িতা ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব আফরোজা খান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জয়িতা ফাউন্ডেশনের সক্ষমতা বিনির্মাণ প্রকল্পের মহাব্যবস্থাপক জনাব নিপুল কান্তি বালা (উপ-সচিব)। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, জয়িতা ফাউন্ডেশনের সক্ষমতা বিনির্মাণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক জনাব শেখ মুহাম্মদ রেফাত আলী (উপ-সচিব)।
রাজশাহী বিভাগের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, রাজশাহীর বিউটি পার্লার ওউনার অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট, মউ বিউটি পার্লার অ্যান্ড স্কিন কেয়ার সেন্টারের প্রতিষ্ঠাতা রুখসানা হুদা, বিউটি পার্লার ওউনার অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও সাফা হারবাল বিউটি পার্লার অ্যান্ড ট্রেনিং ইন্সটিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা জেসমিন আরা বিউটি, পার্লার ওউনার অ্যাসোসিয়েশনের উপদেষ্টা ও ওয়াসিস ড্রিংকিং ওয়াটারের প্রতিষ্ঠাতা রফিকুল ইসলাম স্বাধীন।
প্রশিক্ষণ কর্মশালায় আরো উপস্থিত ছিলেন, উজ্জ্বলার চেয়ারম্যান জনাব আদিত্য সোম, উজ্জ্বলার সহ প্রতিষ্ঠাতা ও বাংলাদেশের স্বনামধন্য বিউটি আর্টিস্ট আফরোজা পারভীন এবং জয়িতা ফাউন্ডেশন ও উজ্জ্বলার কর্মচারীবৃন্দ। প্রশিক্ষণ কর্মশালাটি শুরু হয় ৯ জুন থেকে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জয়িতা ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব আফরোজা খান বলেন, ‘জয়িতা অর্থ, বিজয়ী নারীর প্রতীক। এই নাম মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া। এই প্রশিক্ষণ শেষে আপনি একটি ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। জয়িতা ফাউন্ডেশনের পরবর্তী কর্মকাণ্ডে আপনাদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। একজন নারীকে কাজের মাধ্যমে দক্ষতা বাড়াতে হবে। যত কাজ করবেন, তত দক্ষ হবেন। নিজেদের স্বপ্নের পথে কঠোর পরিশ্রম করে এগিয়ে যেতে হবে।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জয়িতা ফাউন্ডেশনের সক্ষমতা বিনির্মাণ প্রকল্পের মহাব্যবস্থাপক জনাব নিপুল কান্তি বালা বলেন, ‘বর্তমান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নারীকে দক্ষ করার জন্য জয়িতা ফাউন্ডেশন তৈরি করেছেন। আপনাদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলা আমাদের মূল উদ্দেশ্য। প্রশিক্ষণ ছাড়া ভালো কাজ করার সুযোগ কম। দেশের ৬৪ জেলায় এই প্রশিক্ষণ দেওয়ার লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। দেশের জনসংখ্যার বেশিরভাগই এখন নারী। নারীকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করা দরকার। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এই উদ্যোগেই কাজ করছেন।’
সভাপতির বক্তব্যে জয়িতা ফাউন্ডেশনের সক্ষমতা বিনির্মাণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক জনাব শেখ মুহাম্মদ রেফাত আলী বলেন, ‘১০ দিনের এই প্রশিক্ষণটি সত্যিকার অর্থে সফল হবে, আপনারা নিয়মিত ও সঠিকভাবে শেখানো বিষয়গুলো চর্চা করলে। আপনারা একধাপ এগিয়ে গেছেন দেখলে, আমরা আপনাদের তিন ধাপ এগিয়ে দেবো।’
আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে জয়িতা ফাউন্ডেশন ও উজ্জ্বলার যৌথ উদ্যোগে এই রকম একটি কর্মশালা রাজশাহীতে অনুষ্ঠিত হয়েছে জানিয়ে রাজশাহীর বিউটি পার্লার ওউনার অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট রোখসানা হুদা বলেন, ‘যেকোনো ব্যবসা করতে গেলে অনেক প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে হয়। আবার শুরুতে কোনো প্রতিষ্ঠানের সুনাম নষ্ট হলে, সেটি ঠিক করা কঠিন হয়। এই বিষয়গুলো মাথায় রেখেই সুনামের সঙ্গে সামনে এগোতে হবে।’
রাজশাহীর পার্লার ওউনার অ্যাসোসিয়েশনের উপদেষ্টা রফিকুল ইসলাম স্বাধীন বলেন, ‘রাজশাহীকে উদ্যোক্তা নগরী বলা হয়। উদ্যোক্তা হলো রাষ্ট্রের সম্পদ। আমি ধন্যবাদ জানাই বাংলাদেশ সরকারকে, এই রকম একটি উদ্যোগ গ্রহণের জন্য। এখানে প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা চমৎকারভাবে আগ্রহ নিয়ে কাজটি শিখেছে। এটি চর্চার মাধ্যমে ধরে রাখতে হবে।’
কর্মশালার বিষয়ে উজ্জ্বলার সহ প্রতিষ্ঠাতা আফরোজা পারভীন বলেন, ‘একজন নারী মনের শক্তিতে অনেক শক্তিশালী থাকে। তাদের মধ্যে উদ্যোক্তা হওয়ার ক্ষমতা ও ধৈর্য বেশি। রাজশাহীতে যে ২০ জন নারী প্রশিক্ষণ নিয়েছে, তাদের মধ্যে অদম্য উদ্দীপনা, সাহস ও তারুণ্য দেখেছি। প্রশিক্ষণের শেখানো বিষয়গুলো নিয়মিত চর্চার মধ্য দিয়ে তারা আরো সামনে এগিয়ে যেতে পারবে।’
সমাপনী বক্তব্যে উজ্জ্বলার চেয়ারম্যান আদিত্য সোম জানান, জয়িতার সঙ্গে এই কাজটি করতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। জয়িতা ও উজ্জ্বলা একত্রিত হয়ে বাংলাদেশের নারীদের স্বাবলম্বী করতে এরকম আরো কাজ করবে এই আশা রাখি।