সাতকাহন২৪.কম ডেস্ক
গোটাবিশ্বেই তরমুজ অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি ফল। তবে এই রসালো ফলটির গুণাগুণ নিয়ে অনেকেই তেমন সচেতন নয়। তরমুজে রয়েছে ৮২ শতাংশ পানি। এতে আরো রয়েছে ভিটামিন ‘সি’। এটি দেহের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে খুব উপকারী। রমজানে তরমুজ খাওয়ার উপকারিতার বিষয়ে জানিয়েছে বোলনিউজ ডটকম।
পানিশূন্যতা প্রতিরোধে
রমজানের সময় রোজার কারণে অনেকেরই পানি পান কম হয়। আর এতে ক্ষতি হয় দেহের। পানিশূন্যতা থেকে কোষ্ঠকাঠিন্য, প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া, মাথাব্যথা, অবসন্নতা, খিটখিটে মেজাজ ইত্যাদি সমস্যা দেখা দেয়। এসব সমস্যা থেকে রেহাই পেতে তরমুজ অত্যন্ত কার্যকর ফল।
আর্দ্র রাখে
তরমুজের মধ্যে ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, সোডিয়াম, পটাশিয়াম ইত্যাদি উপাদান রয়েছে। এগুলো দেহকে আর্দ্র রাখতে বা দেহের পানির ভারসাম্য বজায় রাখতে খুবই উপকারী। এতে ত্বকও ভালো থাকে।

কম ক্যালরি থাকে
অন্যান্য ফলের তুলনায় তরমুজে অনেক কম ক্যালরি রয়েছে। এক কাপ তরমুজে ৪৬ ক্যালরি থাকে। অবশ্য, তরমুজের মিষ্টতা নিয়ে অনেকে দুশ্চিন্তায় পড়ে। তবে এতে থাকা চিনি তেমন ক্ষতিকর নয়। এক কাপ তরমুজে নয় গ্রাম চিনি রয়েছে। তাই এতে ওজন বেড়ে যাওয়ার তেমন ভয় নেই।
পুষ্টিগুণে ভরপুর
তরমুজে রয়েছে ভিটামিন ‘এ’, ‘বি’, ‘সি’ ও গুরুত্বপূর্ণ এমাইনো এসিড। এর মধ্যে রয়েছে উচ্চ পরিমাণ ক্যারোটিনয়েড। যেমন : বেটা কেরোটিন, লাইকোপেন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এগুলো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং ক্ষতিকর ফ্রি রেডকেল থেকে দেহকে রক্ষা করে। এ ছাড়া তরমুজ হৃদপিণ্ডের স্বাস্থ্যকে ভালো রাখে এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়।

চোখের যত্নে
এই ফলটির মধ্যে থাকা লাইকোপেন চোখকে অক্সিডেটিভ ডেমেজ ও প্রদাহ থেকে সুরক্ষা দেয়। এটি বার্ধক্যের কারণে হওয়া চোখের সমস্যা- এএমডি প্রতিরোধে উপকারী।
হজম ভালো করে
তরমুজ পানি ও আঁশের মেলবন্ধনে তৈরি ফল। পানি ও আঁশ দুটোই হজম ভালোভাবে হওয়ার জন্য জরুরি। তাই রোজায় হজমের সমস্যা সমাধানে ইফতার ও সেহরির খাদ্যতালিকায় অনায়াসেই রাখতে পারেন এই মিষ্টি, উপদেয় ফলটি।