সাতকাহন২৪.কম ডেস্ক
যোনির শুষ্কতার কারণে সহবাসে অনিহা চলে আসে অনেকের এবং সহবাস অত্যন্ত ব্যথাদায়ক হয়। পাশাপাশি শুষ্কতার জন্য যোনি থেকে পানি নিঃসরণ ও ইনফেকশন হয়।
গবেষণায় দেখা গেছে, এই বিষয়টি মেনোপোজ বা দীর্ঘমেয়াদে মাসিক বন্ধ হওয়ার পর, ৪০ থেকে ৫৭ শতাংশ নারীর ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। আর ১৫ শতাংশ নারী মেনোপজের আগে, যোনির শুষ্কতার কারণে প্রভাবিত হয়। যোনির শুষ্কতার কিছু কারণ বর্ণনা করেছে স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট এভরি ডে হেলথ।
ইসট্রোজেনের ঘাটতি
ইসট্রোজেন হরমোন দেহের রক্তসঞ্চালনকে স্বাভাবিক রাখে। এতে যৌনির টিস্যু আর্দ্র থাকে। এই হরমোনের ঘাটতি হলে যোনিতে শুষ্কতার সমস্যা হয়। ব্রেস্ট ফিডিং অবস্থায়, মেনোপোজের সময়, মেনোপোজের পরে এবং কিছু জন্ম নিয়ন্ত্রক ওষুধ গ্রহণের সময় এই সমস্যা হতে পারে। এ ছাড়া ক্যানসারের চিকিৎসায় ক্যামোথেরাপি বা রেডিওথেরাপি নেওয়ার সময় শুষ্কতার সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে।
পানিশূন্যতা
যোনি বা ভ্যাজাইনার কোষগুলো ঠিকঠাকমতো কাজ করতে বেশি পানির প্রয়োজন। আপনি হয়তো অনেক ব্যায়াম করলেন, তবে পানি পান করলেন না- ব্যাপরটি নিশ্চয়ই দেহের জন্য ক্ষতিকর। বিষয়টি অনেকটা এই রকম। মূলত, পানিশূন্যতা যোনির শুষ্কতার অন্যতম কারণ।
যোনির শুষ্কতা কমাতে পর্যাপ্ত পানি পান করুন। লুবি্রকেন্ট, ব্যবহার করেও শুষ্কতা রোধ করা যায়। এই সমস্যা সমাধানে অ্যান্টিহিস্টামিস জাতীয় ওষুধ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা।
প্রদাহ
যোনির শুষ্কতার আরেকটি অন্যতম কারণ প্রদাহ বা ইনফ্ল্যামেশন। সঠিকভাবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন না থাকা, ক্ষারযুক্ত সাবান, পারফিউম ইত্যাদি ব্যবহারের কারণে যোনিতে অনেক সময় প্রদাহ হয়। পাশাপাশি সংক্রমণের কারণেও এই সমস্যা হতে পারে।
বয়স বাড়া
তরুণ বয়সে যোনি যতটা পিচ্ছিল থাকে, বয়স বাড়তে থাকলে সেটি হারায়। এতে শুষ্কতা তৈরি হয়।
মানসিক ও আবেগীয় কারণ
মানসিক চাপ ও উদ্বেগ যৌনজীবনকে প্রভাবিত করে। এ ছাড়া সঙ্গীর সঙ্গে মানসিক দূরত্ব যৌনতার চাহিদাকে কমিয়ে দিতে পারে। এতে সহবাসের সময় যোনি শুষ্ক থাকার সমস্যায় পড়েন অনেকে।