সাতকাহন২৪.কম ডেস্ক
ছোটবেলা থেকেই সাজগোজের প্রতি সখ ছিল শাম্মী আখতারের। বড় হবার পর অন্যকে সাজিয়ে দেওয়ারও টুকটাক কাজ করতেন। এক পর্যায়ে স্বামী চাইলেন তিনি কাজটিকে আরো ভালোভাবে শিখুন এবং স্যালন দিক।
এরপর স্বামীর সহযোগিতায় পূর্ণদমে কাজটি করা। উজ্জ্বলায় এলেন প্রশিক্ষণ নিতে। বর্তমানে নিজেই একটি পার্লার খুলেছেন। ভালো আয়ও হচ্ছে। বলেন, ‘উজ্জ্বলার প্রতি আমি অনেক কৃতজ্ঞ। ঘরে স্বামী, আর বাইরে উজ্জ্বলা ছিল বলে এই পর্যায়ে আসতে পেরেছি। এখন আমি নিজেই স্বাবলম্বী, নিজেই একজন উদ্যোক্তা। এটা অনেক শান্তি ও শক্তির বিষয়।’
কাজটি ভালোভাবে করার জন্য যখন মনস্থির করলাম, তখন ভালো কোনো প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সন্ধান পাচ্ছিলাম না। এরপর উজ্জ্বলার খোঁজ পাই। উজ্জ্বলায় গিয়ে, তাদের সঙ্গে কথা বলে ভালো লাগে। এরপর এখান থেকেই প্রশিক্ষণ নেওয়ার চিন্তা করি। এখানে শেখার খরচটাও কম। আর কিস্তিতেও সেই টাকা পরিশোধ করা যায়। এখানে নিম্নমধ্য বিত্ত থেকে উচ্চ মধ্যবিত্ত সবাই শিখতে পারে। এটা খুব ভালো বিষয়- জানান তিনি।
উজ্জ্বলা থেকে সেরা ১০ -এর অ্যাওয়ার্ড পান তিনি। উজ্জ্বলার সহযোগিতার কথা জানিয়ে বলেন, ‘শেখার সময় প্রথম দিকে আমি গুটিয়ে থাকতাম। কাজ করতে গেলে ভয় পেতাম। এই বিষয়টা প্রশিক্ষকরা বুঝতে পেরেছিলেন। তখন ধরে ধরে শেখান আমাকে। পরে তো উজ্জ্বলার অ্যাসিসটেন্ট হিসেবেও ক্লাস করেছি।’
আমাদের সমাজে মেয়েদের স্বাবলম্বী হওয়াটা খুব জরুরি। যতই স্বামীর অর্থ থাকুক। মেয়েদের নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘ নিজের পায়ে না দাঁড়ালে মেয়েরা মূল্যহীন হয়ে পড়বে। ‘ স্বামীর সহযোগিতার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ উজ্জ্বলায় প্রশিক্ষণ নেওয়ার সময়, কখনো কখনো আমার স্বামী রান্নাও করতেন। আমাকে কাজ করার ক্ষেত্রে ভীষণ সহযোগিতা করেন তিনি। প্রত্যেকটি ছেলের এমন হওয়া উচিত বলে আমি মনে করি।’
ভবিষ্যতে নিজের প্রতিষ্ঠানটিকে বড় পরিসরে সাজাতে চান শাম্মী। জানালেন, প্রতিষ্ঠানটিকে বড় করার ইচ্ছা রয়েছে। উজ্জ্বলা যেই শিক্ষা দিয়েছে, তা পূর্ণদমে কাজে লাগাতে চাই।
বি : দ্র : বাংলাদেশের বিউটি অ্যান্ড গ্রুমিং ইন্ডাস্ট্রিতে উদ্যোক্তা তৈরিতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে উজ্জ্বলা লিমিটেড। উজ্জ্বলায় প্রশিক্ষণ নিয়েছেন এবং সংগ্রাম করে সাফল্য অর্জন করেছেন, এমন কয়েকজন নারী ও পুরুষের সাক্ষাৎকার নিয়ে সাতকাহনের ধারাবাহিক পর্ব চলছে। এই পর্বটি ছিলো ৩০তম।