সাতকাহন২৪.কম ডেস্ক
মোবাইল ফোনের অতিরিক্ত ব্যবহার কি ব্রেইন টিউমার ঘটাতে পারে ?- বর্তমানে সারাবিশ্বেই এ নিয়ে চলছে বিস্তর গবেষণা। গবেষণার ফলাফলে এর সঠিক উত্তর উঠে না আসলেও, এই রেডিয়েশন যে দেহের জন্য ভালো কিছু নয়, এর সঙ্গে একমত হয়েছে বিজ্ঞানীরা।
সাধারণত রেডিয়েশনের দুটো ধরণ পাওয়া যায়। একটি ইনোজিনিক, অপরটি নন-ইনোজিনিক। মোবাইল ফোন থেকে নন-ইনোজিনিক ইলকট্রোমেগনেটিক ফিল্ডস (আরএফ-ইএমএফএস) নির্গত হয়। এটি ইনোজিনিক রেডিয়েশন (যেমন : এক্স রে, গামা রে)-এর চেয়ে কিছুটা কম শক্তির। ইনোজেনিক রেডিয়েশন অণু ও পরমাণুতে শক্তিশালীভাবে থাকা ইলেকট্রনের বন্ধনকে ভেদ করতে পারে। এতে অনেক সময় ডিএনএ ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে।
নন ইনোজেনিক রেডিয়েশনের ডিএনএ ক্ষতি করার মতো শক্তি নেই। তবে আরএফ-ইএমএফএস টিস্যুকে আঘাত করে এবং পরোক্ষভাবে দেহের ক্ষতি করতে পারে। ২০১১ সালে করা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একটি গবেষণার ফলাফলে বলা হয়, আরএফ-ইএমএফএস সম্ভবত মানুষের দেহের জন্য কারসিনোজেনিক। কোনো পদার্থ কারসিনোজেনিক হলে ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। সরাসরি টিউমারের সঙ্গে এর সম্পর্ক রয়েছে কি না বিষয়টি এখনো বলা যায় না। তবে এর কিছু স্বাস্থ্যঝুঁকি তো রয়েছেই।
বিশ্বের ১৩টি দেশের ওপর করা একটি ইন্টারফোন গবেষণার ফলাফলে দেখা যায়, ব্রেইন টিউমারের দুটো ধরণ গ্লিওমা অথবা মেনিনগিওমা- কোনো ক্ষেত্রে মোবাইলের রেডিয়েশন তেমন প্রভাব ফেলে না। তবে এ নিয়ে পরবর্তী সময়ে আরো গবেষণার অবকাশ রয়েছে।
তাই, মোবাইল ব্যবহারে সতর্ক হওয়ার পরামর্শই দেন বিজ্ঞানীরা। কারণ, টিউমার হোক আর না হোক, দেহের যে কিছু ক্ষতি হয়, তা তো অস্বীকার্য।